Site icon Jamuna Television

অভিবাদন মোহসীন-উল হাকিম!

বাংলাদেশ। সুন্দরবন। মোহসীন-উল হাকিম। তিনটি আলাদা শব্দ, বিষয়। একত্র করলে কি বেশি ক্ষতি বা ভুল হয়? পছন্দ যার যার।
বাংলাদেশ এবং সুন্দরবন, সুন্দরবন এবং বাংলাদেশ- এগুলোকে আলাদা করা যায় না। এই বনের সুখ-দুঃখের সাথে জড়িয়ে গেছেন মোহসীন-উল হাকিম। এ যেন রক্তে মিশে যাওয়া সম্পর্ক। তাকে আলাদা করা এখন আর খুব ন্যায্য কিছু না।

অভাব, বঞ্চনা, নিপীড়ন-নির্যাতনের ফলে দানবে পরিণত হয় উপকূলের কিছু মানুষ। কেড়ে নেয় হাজারও নিরীহ জেলে-বাওয়ালির ঘুম। তারা দস্যু। অস্ত্র আর জীবন একসাথে হাতে নিয়ে চলে বনে-বাদাড়ে। তারাই মোহসীন উল হাকিম গল্পের উপজীব্য। দস্যুতা ছেড়ে শ্যামবর্ণের মানুষগুলোর জীবনে ফেরার ঘটনা এখন বাংলাদেশের ইতিহাস। আমাদের সৌভাগ্য এই ইতিহাসের রচয়িতা ‘টিম যমুনা’র একজন সদস্য। যার কৃতিত্বের গল্প প্রচার হয় ‘বিবিসি বাংলা’য়! গর্বে বুকটা ফুলে ওঠে। পেশাদার হলেও মানবিক হওয়া যায়, মানবিক থেকেও পেশাদার হওয়া যায়- এই বার্তাই দিলেন মোহসীন। স্যালুট মেট! নিজের কাজই যে সমাজের কাজ, নিজের কাজই যে দেশের কাজ, তা যেন দেখিয়ে দিলেন একেবারে চোখে আঙুল দিয়ে!

আমাদের কষ্টও কম নয়। বাঙালি যতই উদার হোক, প্রশংসাটা তার ঠিক আসে না! মোহসীন একাগ্র সাধনা চালিয়ে গেছেন, রাত-দিন মাস-বছরজুড়ে। সময়ে সময়ে তা তুলে ধরেছেন রিপোর্টে। এজন্য সাধুবাদ দূরে থাক, যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন কেউ কেউ। এমন উষ্মাও শুনতে হয়েছে, কিছু দিন পর পর সুন্দরবন নিয়ে একই রিপোর্ট করে মোহসীন! প্রশ্ন তোলা হয়, যারা এসব নিউজের ট্রিটমেন্ট দেয়, তাদের নিউজ জাজমেন্ট নিয়ে! দস্যুদের আত্মসমর্পণের খবর প্রচার/প্রকাশ হয়েছে প্রায় সব গণমাধ্যমে। অনেক অনেক কথা বলা হলেও দু’একটি ছাড়া কোনটিতে নেই অন্তরালের নায়কের নাম! এ যেন, বর ছাড়া বিয়ে! গলা ফাটিয়ে চিৎকার করে গেছে যমুনা টেলিভিশন।

শুরু থেকেই বিষয়টিতে গুরুত্ব দিয়ে আসছে বিবিসি। মাঝে কয়েকটি অনলাইনও সামনে আনার চেষ্টা করে নেপথ্য নায়ক মোহসীন-উল হাকিমকে। তাদের সবাইকে ধন্যবাদ, কৃতজ্ঞতা। তবে সব ছাপিয়ে গেছেন বিবিসি’র মাসুদ হাসান খান। তার লেখা- সুন্দরবনে শান্তি ফেরালেন যে সাংবাদিক। মোহসীন-উল হাকিমের হাত ধরে আরও অনেক ভালো কাজ হবে, যমুনা টেলিভিশনে, বাংলাদেশে- এই আশায়, অপেক্ষায় টিম যমুনা।…

Exit mobile version