Site icon Jamuna Television

আরিচা-কাজীরহাট ফেরি রুট থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন যাত্রীরা

দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর গত বছর চালু হয় আরিচা-কাজীরহাট নৌরুটে ফেরি চলাচল। কিন্তু এক বছরেও সেবার মান না বাড়ায় মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন এই রুটে চলাচলকারী যাত্রী ও পরিবহন সংশ্লিষ্টরা। আগের চেয়ে যাত্রী ও যানবাহন পারাপারও নেমে এসেছে অর্ধেকে। এছাড়া ফেরি সংকটে পারাপারে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এ পথে চলাচলকারীদের।

গেল বছরে ২৭ ফেব্রুয়ারি চালু হয় এই রুট। নতুন রুটে ফেরি চলাচল করায় আশায় বুক বেঁধেছিল দুই পাড়ের মানুষ। কিন্তু একবছরেও এই রুটে বাড়েনি সেবার মান, রয়েছে পন্টুন ও ফেরি সংকট, গড়ে ওঠেনি যাত্রী ও পরিবহন শ্রমিকদের জন্য নূন্যতম সুযোগ-সুবিধা। লক্কর-ঝক্কর তিনটি ফেরি দিয়ে কোনোমতে ঘাট চালু থাকলেও পারাপারে দুর্ভোগ আর ভোগান্তি নিত্যসঙ্গী যাত্রীদের।

বঙ্গবন্ধু সেতুর বিকল্প হিসেবে এই পথে উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলোর সাথে রাজধানীর দূরত্ব কমেছে প্রায় নব্বই কিলোমিটার। ফেরি সংখ্যা বাড়ানো হলে বাঁচবে সময় ও খরচ। কিন্তু শুরুর দিকে চলা নতুন ফেরি দুটি সরিয়ে বহরে পুরাতন ফেরি যোগ করার পর থেকেই মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে।

আরিচা-কাজীরহাট নৌ-রুটের ম্যানেজার মো. আবু আব্দুল্লাহ বলছেন, আরিচা-কাজীরহাট নৌরুটে রো রো ফেরি ভেড়ানোর জন্য পন্টুন নির্মাণ করা হচ্ছে। বাড়ানো হবে ফেরি সংখ্যাও। এতে দুর্ভোগ কমবে বলে আশা করছেন বিআইডব্লিউটিসির আরিচা নৌ অঞ্চলের ডিজিএম মো. খালেদ নেওয়াজ।

প্রসঙ্গত, ঘাটে সার্বক্ষণিক ফেরির ব্যবস্থা না থাকায় এখনও এই রুটে চালু হয়নি কোনো বাস চলাচল।

/এডব্লিউ

Exit mobile version