Site icon Jamuna Television

পাবনায় বাসাবাড়িতে সপ্তাহ না যেতেই ফের হামলা, যুবক ছুরিকাহত

পাবনা প্রতিনিধি:

পাবনা পৌর এলাকার মাসুম বাজার এলাকায় বাংলা ক্লিনিকের তৃতীয়তলা বাসাবাড়িতে ঢুকে ভাঙচুর ও মহিলাদের মারধরের ঘটনার এক সপ্তাহ পার হতে না হতেই আবারও হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ হামলায় জুলফিকার (৩২) নামের এক যুবক ছুরিকাহত হয়েছেন। আহত যুবককে গুরুতর অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

গত রোববার (১৩ ফেব্রুয়ারি) এ হামলার ঘটনা ঘটে। এর আগে গত ৬ ফেব্রুয়ারি রাত ৯টার দিকে ১৫-১৬ জনের একটি সন্ত্রাসী দল দেশিয় অস্ত্র নিয়ে বাসার দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকে বাসার আসবাবপত্র ভাঙচুর করে এবং পরিবারের সদস্যদের মারপিট করে টাকা ও সোনা লুট করে নিয়ে যায়।

এ ঘটনায় গত ৮ ফেব্রুয়ারি আলীমুল রেজা সেতু বাদী হয়ে ৬ জনকে নাম উল্লেখ করে আসামি করাসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৫ থেকে ৬ জনকে আসামি করে পাবনা সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

মামলার বাদী আলীমুল রেজা সেতু বলেন, আলহাজ্ব রেজাউল করিম নামের এক ব্যক্তি গত ৬ ফেব্রুয়ারি ফোন করে আমার কাছে অনৈতিকভাবে ২০ লক্ষ টাকার চাঁদা দাবি করে এবং আমাকে বিভিন্ন ভাষায় গালিগালিজ করে হুমকি দেয়। হঠাৎ এদিন রাত ৯টার দিকে রেজাউল করিমসহ ১৫-১৬ জনের একটি সন্ত্রাসী দল দেশিয় অস্ত্র নিয়ে আমার বাসার দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকে বাসার আসবাবপত্র ভাঙচুর করে। পরিবারের সদস্যদের মারপিট করে গুরুতর আহত করার পর টাকা ও সোনা লুট করে নিয়ে যায়।

তিনি আরও বলেন, ঘটনার এক সপ্তাহের মধ্যে আবারও গত রোববার রাত আটটার দিকে ১৫ থেকে ২০ জনের একদল সন্ত্রাসী পৌর এলাকার মাসুম বাজারের বাংলা ক্লিনিকে ঢুকে আমার ভাগনে জুলফিকার (৩২)-কে ছুরিকাঘাত করে চলে যায়। তাকে গুরুতর অবস্থায় প্রথমে পাবনা জেনারেল হাসপাতাল ও পরে অবস্থার অবনতি হলে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনার পরপরই থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এক সপ্তাহের মধ্যেই দুইবার হামলার ঘটনায় আমার ও আমার পরিবারের জীবনের নিরাপত্তা পাচ্ছি না। তারা আমাকে বিভিন্নভাবে হুমকি দিয়ে চলেছে।

এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পাবনা সদর থানার পরিদর্শক (এসআই) ইসতিয়াক ইসলাম বলেন, থানায় মামলা হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

অভিযুক্ত আলহাজ্ব রেজাউল করিমের সাথে যোগাযোগের একাধিকবার চেষ্টা করা হলেও তার ফোন বন্ধ থাকায় কথা বলা সম্ভব হয়নি।

জেডআই/

Exit mobile version