Site icon Jamuna Television

ডিজিএফআইয়ের ভুয়া পরিচয় ব্যবহার করে নারী পাচার, আটক ১

আন্তর্জাতিক নারী পাচারকারী চক্রের সদস্য আবির হাসান

ভোলা প্রতিনিধি:

ডিজিএফআইয়ের মেজর পরিচয় দেয়া আন্তর্জাতিক নারী পাচারকারী চক্রের সদস্য আবির হাসানকে আটক করেছে পুলিশ। পরে তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে দিনাজপুরে তার গোপন আস্তানা থেকে অপহৃত এক নারীকেও উদ্ধার করা হয়েছে। আবির হাসান নিজেকে ডিজিএফআই-এর মেজর হিসেবে পরিচয় দিয়ে অসংখ্য মানুষের সাথে প্রতারণা করেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ের কনফারেন্স রুমে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে উদ্ধার অভিযানের নেতৃত্বদানকারী অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ফরহাদ সরদার জানান, আবির হাসান কখনও ভারতের দিল্লিতে থাকে বলে পরিচয় দিতো। আবার কখনও নিজেকে ডিজিএফআয়ের মেজর, কখনও ফ্লাইট লেফটেনেন্ট পরিচয় দিয়ে প্রতারণা করে আসছিল। এসব পরিচয় দিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্কুল-কলেজগামী ছাত্রীদের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করে তাদেরকে ভারতে পাচার করতো সে।

এছাড়াও চাকরি দেয়ার নাম করে বিভিন্নজনের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিতো আবির। এছাড়াও জাতীয় পর্যায়ের শীর্ষ কয়েকটি দৈনিক পত্রিকায় কম্বল বিতরণ, বিভিন্ন সামাজিক কার্যক্রম পরিচালনা ও দেশের পক্ষে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন বৈঠক করছে, এমন সাজানো ফটোসেশন করে তা সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার করতো প্রতারক আবির।

জানা গেছে, প্রতারণার শিকার ভোলা সদরের মিরা আক্তার ইতি (১৮) কে ১০ ফেরুয়ারি ভোলার সার্কিট হাউসের সামনে থেকে অপহরণ করে পাচারের জন্য দিনাজপুরের ভারত সীমান্তবর্তী একটি এলাকায় নিয়ে যায় সে। রোববার (১৩ ফেরুয়ারি) ভিকটিম কৌশলে এক ভিডিও বার্তায় অপহরণ ও তাকে আটকে রাখার খবর জানায় স্বজনদের। খবর পেয়ে ভিকটিমের মা ভোলা থানা পুলিশকে জানালে, তথ্য প্রযুক্তির সূত্র ধরে ভিকটিমকে উদ্ধার ও অভিযুক্ত ভুয়া মেজর আবির হাসানকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তদন্তে তার ব্র্যাক ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ৯ লাখ টাকা পাওয়া গেছে বলেও জানিয়েছে পুলিশ।

জিজ্ঞাসাবাদে আবিরের কাছ থেকে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য উদঘাটন করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন এ পুলিশ কর্মকর্তা। আবিরের বিরুদ্ধে নারী অপহরণ, চাঁদাবাজি, প্রতারণা ও সাইবার ক্রাইম প্রতিরোধ আইনে দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানান তিনি।


/এসএইচ

Exit mobile version