Site icon Jamuna Television

দৈনিক ৪০ লিটার দুধ লাগে চা বিক্রেতা সুজনের!

মাহমুদুর রহমান তারেক, সুনামগঞ্জ :

‘অভ্যাস হয়ে গেছে। ঘরের চা মজা লাগে না। সকাল-বিকাল বাজারে আইস্যা চা খাইতে হয়। যদি একদিন এই গরুর দুধের চা না খাই তাইলে মনে হয় যেন আজকে কী যেন খাইলাম না।’

বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার পলাশ বাজারে বিদেশ ফেরত মোহাম্মদ সুজনের দোকানের গরুর দুধের চায়ের প্রশংসা করে এসব কথা বলছিলেন পার্শবর্তী অছুকোনা গ্রামের নয়ন মিয়া।

শুধু নয়ন মিয়া নন, বিশ্বম্ভরপুর ছাড়িয়ে সুনামগঞ্জ সদর, তাহিরপুর উপজেলার মানুষও সুজনের চায়ের প্রশংসায় পঞ্চমুখ। কী এমন চা বানান যে সবাই তার তৈরি চায়ে প্রশংসায় পঞ্চমুখ।

সুজন বলেন, আড়াই বছর আগে এখানে চায়ের দোকানধারী শুরু করি আমি। প্রথম থেকেই নির্ভেজাল গরুর দুধে আমার এখানে চা তৈরি হয়। তিন ধরনের চা তৈরি করি, দুধের চা, সর দিয়ে বানানো চা আর মালাই চা। দুধের চা ৫ টাকা, সরের চা ১০ টাকা এবং মালাই চা ৪০ টাকা।

মালাই প্রতিদিন সন্ধ্যায় বিক্রি হয়। দুধ জ্বালিয়ে মালাই চা তৈরি করা হয়। প্রতিদিন ৬০০-৭০০ কাপ চা বিক্রি হয়, দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ আসেন চা খেতে। তিনি আরো জানান, নিজের বাড়িতে পালিত গরুর পাশাপাশি চায়ের জন্য খামারিদের কাছ থেকেও দুধ সংগ্রহ করতে হয়। প্রতিদিন প্রায় ৪০ লিটার দুধের প্রয়োজন হয় তার।

পলাশ ইউনিয়নের মেরুয়াখলা গ্রামের আব্দুল লতিফ বলেন, সুজনের চা জিভে লেগে থাকে। তার তৈরি চায়ের ঘ্রাণটাই অন্যরকম। যা বাজারের অন্য দোকানগুলোতে পাওয়া যায় না।

রণবিদ্যা গ্রামের শিরু মিয়া বলেন, এই দোকানে চা খেতে এলে অনেক সময় লাইন ধরতে হয়। সিলেট থেকে আসা পর্যটক আরমান সেবুল নামে একজনকে পাওয়া গেল সুজনের দোকানে চা খাচ্ছেন। তিনি বললেন, গত বছর টাঙ্গুয়ার হাওরে ঘুরতে যাবার সময় এই দোকানে চা খেয়েছিলাম, স্বাদ ভুলতে পারেনি। আজ আবারও টাঙ্গুয়ার হাওর থেকে ফেরার পথে দোকানটা খোঁজে বের করে বন্ধুদের নিয়ে চা খেতে এলাম।

Exit mobile version