Site icon Jamuna Television

আতঙ্ক ছড়াচ্ছে ভুতুড়ে বাড়ি

এ যেন গা ছমছমে এক পরিবেশ, এর মাঝেই একটি ভবন ঘিরে আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকাবাসীর মনে। ভবনটির সীমানা প্রাচীর জুড়ে যেন পাহারায় শয়তানের মূর্তি, এটা যেন কোনো শয়তানের বাড়ি। বাড়ির সীমানা প্রাচীর থেকে শুরু করে ঘরের ভেতর-বাহির সব জায়গায়ই বানানো হয়েছে শয়তানের নানা ধরনের মূর্তি। অভিযোগ রয়েছে, ঘরের ভেতরেও শয়তানের জন্য আয়োজন করা হয় নানা আচার-অনুষ্ঠানের। ভয়ঙ্কর এ বাড়িটির দেখা মিলবে লাতিন দেশ বলিভিয়ায়। খবর ডেইলি সাবাহর।

বাড়িটির অন্দরমহলেও আপনাকে স্বাগত জানানোর অপেক্ষায় কাঠ ও সিমেন্ট দিয়ে তৈরি ভয়াল আকৃতির সব মূর্তি। গা শিউরে ওঠা এ ভবনটির মালিক ডেভিড চোক জানালেন পূর্বপুরুষদের সম্মানে খনির দেবতার মূর্তি দিয়ে সাজিয়েছেন বাড়িটি। তিনি বলেন, আমার পূর্বপুরুষরা সকলেই খনি শ্রমিক ছিলেন। তাই খনির দেবতাকে উৎসর্গ করে আমি এ বাড়ি বানিয়েছি। খনির দেবতার নামে এ বাড়ির নাম রাখা হয়েছে দ্য আঙ্কলস হাউজ।

বলিভিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর এল আলটোতে অবস্থিত ব্যতিক্রমী এ বাড়ি এরইমধ্যে জন্ম দিয়েছে আলোচনা-সমালোচনার। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, বাড়িটির ভেতরেও আয়োজন করা হয় ভয়ঙ্কর সব আচার-অনুষ্ঠান।

স্থানীয় বাসিন্দা মারিয়া লরেল বলেন, তারা প্রতি মঙ্গল ও শুক্রবার এখানে নানারকম অদ্ভূত আচার-অনুষ্ঠান পালন করে। এসব দেখে আমি একবার ভয়ে দৌড়ে পালিয়েছিলাম। আশপাশের মানুষও এসব কর্মকাণ্ড দেখে ভয় পায়।

তবে, প্রতিবেশীদের এসব অভিযোগ অস্বীকার করছেন বাড়ির মালিক। তার দাবি, অদ্ভুত বাড়িটি পর্যটন কেন্দ্রে পরিণত করা গেলে বদলে যেতে পারে শহরের অর্থনীতি। ডেভিড চোক বলেন, সংকীর্ণ মনের লোকেরা আমার এ উদ্যোগকে অতিপ্রাকৃতিক কিছু মনে করতে পারে। কিন্তু, আমি বলবো আপনারা আপনাদের মনকে প্রসারিত করুন এবং এটাকে একটি ট্যুরিস্ট স্পট ভাবুন। দর্শনার্থীরা এখানে ভীড় জমালে তা এই অঞ্চলের উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে।

প্রসঙ্গত, কয়েক শতাব্দী আগেও বলিভিয়া ছিল স্পেনের দখলে। স্প্যানিশরা, দেশটির বাসিন্দাদের রূপার খনিতে কাজ করতে বাধ্য করত। সে সময় শ্রমিকদের ভয় দেখাতে শয়তানের মূর্তি খনির প্রবেশদ্বারে রেখে দেয়া হতো। এখনও বলিভিয়ার অনেক খনির প্রবেশদ্বারেই এসব মূর্তি দেখা যায়।

/এসএইচ

Exit mobile version