Site icon Jamuna Television

রমজানের দেড় মাস আগেই চড়া মুদি পণ্যের বাজার

ফাইল ছবি

রোজার দেড় মাস আগেই মুদি পণ্যের বাজারে উত্তাপের আঁচ। চাল ও তেলের দাম চড়া আগে থেকেই। নতুন করে চোখ রাঙাচ্ছে চিনি, ছোলা ও ডাল। অথচ বন্দর দিয়ে একাধিক পণ্য আমদানি হচ্ছে আগের চেয়ে বেশি। ব্যবসায়ীরা বলছেন, আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বাড়লে, তাদের কিছু করার থাকে না। শঙ্কা, আবারো মাথাচাড়া দিতে পারে পুরোনো সিন্ডিকেট।

দাম বাড়েনি, ইদানিং বাজারে এমন পণ্য খুঁজে পাওয়া কঠিন। ভোক্তাদের হতাশ কণ্ঠে তো বটেই, এমনকি সরকারি হিসাবেও মিলছে পণ্যের বাড়তি দামের নজির। রোজার দেড় মাস আগে, উত্তাপের সেই আঁচ আরেকটু বেড়েছে।

তাই মুদি পণ্যের দোকানে ক্রেতার আনাগোনা কম। যার আসছেন, ছোট হয়েছে তাদের কেনাকাটার ফর্দ। কারওয়ানবাজারে প্রায় ৮০০ টাকা গুনতে হচ্ছে সয়াবিন তেলের ৫ লিটারের বোতলে। পরিমাণে কম কিনলে দাম আরো বেশি। টিসিবির হিসাবে, গত এক বছরে ভোজ্যতেলের দাম বেড়েছে ৩৫ শতাংশ। ৭৫ টাকায় থমকে আছে সাদা চিনির কেজি। ১২ মাসে এই পণ্যের দাম বেড়েছে প্রায় ২৩ ভাগ। ১১০ টাকা ছুঁইছুই মসুর ডালের দাম। স্থিতিশীল ছোলার দর।

একই অবস্থা উত্তরাঞ্চলে। পাইকারি কিংবা খুচরা, কোথাও সুখবর নেই। একাধিক পণ্যের দাম ঢাকার থেকেও বেশি। অথচ কোনো ব্যাখা নেই ব্যবসায়ীদের কাছে।

যদিও, রমজানকে ঘিরে খাতুনগঞ্জে পণ্য আমদানির হিড়িক। প্রায় প্রতিদিনই এলসি খুলছেন ব্যবসায়ীরা। তবে জাহাজের বাড়তি খরচ আর ডলারের ক্রমবর্ধমান দামকে প্রায় সবাই দুষছেন মূল্য বৃদ্ধির জন্য।

এদিকে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজ জানিয়েছে, দেশে এক বছরে দরকার হয় ২০ লাখ টন ভোজ্যতেল। গত ৭ মাসে আমদানি হয়েছে ৯ লাখ টনের কাছাকাছি। ইফতারের অন্যতম অনুষঙ্গ ছোলা এসেছে বার্ষিক চাহিদার অর্ধেক। ১৩ লাখ টন চাহিদার বিপরীতে চিনি আনা হয়েছে ৭ লাখ টনের বেশি। অর্থাৎ রমজানের আগে একাধিক পণ্যের মজুদ প্রয়োজনের চেয়ে বেশি আছে ইতোমধ্যেই। রমজানে চাহিদা অনুযায়ী বেশিরভাগ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য এসে পৌছাবে মার্চের মাঝামাঝি সময়ে বলে জানিয়েছে কাস্টমস হাউজ সূত্র।

/এসএইচ

Exit mobile version