Site icon Jamuna Television

মামার সাথে দ্বন্দ্বের জেরে ভাগ্নেকে গুলি, আলোচিত মামলায় মূলহোতাসহ আটক ৪

রাজধানীর খিলগাঁওয়ে প্রকাশ্যে যুবককে গুলির ঘটনায় মূল হোতাসহ চারজনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। উদ্ধার হয়েছে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত পিস্তলটিও। পুলিশ বলছে, খিলগাঁও এলাকার ডিশ ব্যবসা নিয়ন্ত্রণে নিতে প্রকাশ্যে গুলি ছুঁড়ে আতঙ্ক তৈরি করতে চেয়েছিল সন্ত্রাসীরা। ঘটনাটি নিয়ে এ মাসের শুরুতে প্রতিবেদন প্রচার করেছিল যমুনা।

রাজধানীর খিলগাঁও এলাকায় গত ৩০ জানুয়ারি রাতে শাকিল নামে এক যুবকের দুই পায়ে গুলি করে সন্ত্রাসীরা। পরদিন এ ঘটনার আদ্যোপান্ত নিয়ে সংবাদ প্রচার করে যমুনা টেলিভিশন। আসামিদের ধরতে মাঠে নামে প্রশাসন।

তবে মামলা দায়েরের পরই আত্মগোপনে চলে যায় সন্ত্রাসীরা। ছদ্মবেশে ঘুরে বেড়ায় বরিশাল, রাজবাড়িসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায়। তাতেও শেষ রক্ষা হয়নি। গোয়েন্দা জালে ধরা পড়েছে চার অপরাধী। উদ্ধার হয়েছে গুলির ঘটনায় ব্যবহৃত নাইন এমএম পিস্তলটি।

ঢাকা মহানগর পুলিশের ডিসি (ডিবি, মতিঝিল) রিফাত রহমান শামীম জানান, শাকিলের মামার সাথে আধিপত্য বিস্তার ও ডিশ ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দ্বন্দ্ব ছিল আসামিদের। এর জের ধরে, গুলি করা হয় শাকিলকে। চক্রের মূল হোতা হিসেবে রুবেলকে চিহ্নিত করেছে পুলিশ। তার সাথে মিলে শাকিলকে গুলি করে, তৌহিদ বাবু, নাহিদ ও জামাল। আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে অস্ত্রের জোগানদাতার নামও জানিয়েছে নাহিদ। গ্রেফতার ওই চারজনের নামে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় আরও একাধিক মামলা রয়েছে বলেও জানান এই পুলিশ কর্মমকর্তা।

প্রসঙ্গত, গত ৩০ জানুয়ারি রাতে শাকিলকে প্রকাশ্যে চার রাউন্ড গুলি করে সন্ত্রাসীরা। যার দুটি গুলি তার দুই পায়ের একপাশ দিয়ে ঢুকে অন্যপাশ দিয়ে বেরিয়ে যায়। এ নিয়ে যমুনায় প্রচারিত ‘মামার সাথে দ্বন্দ্বের জেরে ভাগ্নেকে গুলি’ শিরোনামের প্রতিবেদনটি পড়ুন এখানে। ভাগ্যক্রমে বেঁচে যাওয়া এক সন্তানের জনক শাকিল রাজধানীর খিলগাঁওয়ের ভুইয়াপাড়া এলাকায় চা বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করতেন।

ঘটনাস্থলের আশপাশের এলাকায় গিয়ে জানা গেছে, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে স্থানীয় যুবলীগ নেতা ও শাকিলের মামা শুভর সাথে তৌহিদ বাবু ও নাহিদ গ্রুপের দ্বন্দ্ব দীর্ঘদিনের। এ নিয়ে নাহিদ ও তৌহিদ রাত সাড়ে ১০টার দিকে মোটরসাইকেলে এসে নাইন এমএম পিস্তল দিয়ে ভাগ্নে শাকিলকে গুলি করে পালিয়ে যায়।

/এডব্লিউ

Exit mobile version