Site icon Jamuna Television

চাহিদা বেশি, তাই চিনি দিয়ে তৈরি হচ্ছে খেজুরের গুড়

বাজারে ব্যাপক চাহিদা থাকায় বেশি লাভের আশায় অসাধু ব্যবসায়ীরা চিনি মিশিয়ে তৈরি করছে ভেজাল খেজুরের গুড়। আর এতে প্রতারিত হচ্ছেন ক্রেতারা। মাদারীপুর জেলা প্রশাসন বলছে, ভেজাল গুড় বানানো বন্ধ করতে সব ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। আর কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, চাষিদের উদ্ধুদ্ধকরণে নেয়া হয়েছে উদ্যোগ।

সদর উপজেলার চরকালিকাপুরে আব্দুল জলিল শিকদার দীর্ঘ দিন ধরে খেজুরের রস সংগ্রহ করছেন। জানালেন, বেশি লাভের আশায় খেজুরের রসের সাথে চিনি মিশিয়ে তৈরি হচ্ছে গুড়। দুই ধরনের গুড় বানান তিনি। একটিতে অর্ধেক চিনির সাথে অর্ধেক খেজুরের রস। আর অন্যটিতে মেশান না কিছুই। তবে এই নির্ভেজাল গুড় বিক্রি হয় কেজিপ্রতি ৫০০ টাকায়।

পরিবেশ দূষণ, আবাদি জমিতে বসতভিটা ও ইট ভাটার কারণে দিন দিন খেজুর গাছ কমে যাচ্ছে। সাধারণ মানুষ বলছে, আসল খেজুরের গুড় না পেয়ে ভেজাল গুড় খেতে হচ্ছে তাদের। এসব বিষয় প্রশাসনের নজরদারীর দাবি এলাকাবাসীর।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য মতে, এক দশক আগে জেলায় ৭৫ হেক্টর জমিতে ৮৫ হাজার খেজুর গাছ ছিল। বর্তমানে তা কমে ৪৮ হাজারে নেমেছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের ডিডি মোয়াজ্জেম হোসেন জানালেন, মাদারীপুরের ঐতিহ্যবাহী খেজুরের গুড়ের সুনাম ধরে রাখতে চায় স্থানীয় প্রশাসন। এজন্য তাদের তরফ থেকে খেজুরের চারা বিতরণেরও উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

দৃষ্টিনন্দন খেজুর গাছ হারিয়ে যেতে বসায়ই গুড়ে ভেজাল দেয়ার প্রবণতা তৈরি হয়েছে। এ ব্যাপারে কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার দাবি তুলেছে এলাকাবাসী।

/এডব্লিউ

Exit mobile version