Site icon Jamuna Television

টাকার বিনিময়ে জিতিয়ে দেয়ার চুক্তিকারী সেই নির্বাচন কর্মকর্তা বরখাস্ত

ফাইল ছবি

স্টাফ করেসপনডেন্ট, রংপুর:

অবশেষে ঘটনার ৩ সপ্তাহ পর রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আবদুল হান্নানকে প্রত্যাহার করেছে নির্বাচন কমিশন। সোমবার (২১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন রংপুর আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা জিএম সাহাতাব উদ্দিন।

রংপুর আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা জিএম সাহাতাব উদ্দিন জানান, নির্বাচন কমিশন যথাযথ তদন্ত করার করার পর ওই কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্তের আদেশ দিয়েছেন। রোববার (২০ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে আমাদের কাছে সেই আদেশের কপি এসেছে। সেখানে তদন্ত কার্যক্রম শেষ হওয়ার পর তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলা হয়েছে।

আরও পড়ুন: টাকার বিনিময়ে জিতিয়ে দেয়ার আশ্বাস, মেম্বার প্রার্থী ও নির্বাচন কর্মকর্তার অডিও ভাইরাল

এ ঘটনা নিয়ে ১ ফেব্রুয়ারি যমুনা টেলিভিশনের অনলাইন ও যমুনা টেলিভিশনে প্রতিবেদনে বলা হয়, মিঠাপুকুর উপজেলার নির্বাচন অফিসার আব্দুল হান্নান বালারহাট ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের মেম্বার প্রার্থী রফিকুল ইসলামের সাথে ৫ লাখ টাকায় জিতিয়ে দেয়ার চুক্তি করেন। এ সংক্রান্ত একটি অডিও ভাইরাল হয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।

গত ৭ ফেব্রুয়ারি সেখানে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিবেদন প্রকাশের পর আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্থার কার্যালয় থেকে তাকে প্রত্যাহার এবং তার বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন সচিবালয়ে প্রেরণ করা হয়। ওই চিঠির প্রেক্ষিতে সচিবালয় থেকে আব্দুল হান্নানকে ৩ ফেব্রুয়ারি মিঠাপুকুর থেকে প্রত্যাহার করে কুড়িগ্রাম জেলা নির্বাচন অফিসে সংযুক্ত করা হয়েছিল। প্রায় ৩ সপ্তাহ পর নির্বাচন কমিশন তাকে বরখাস্ত করলো।

আরও পড়ুন: টাকার বিনিময়ে জিতিয়ে দেয়ার আশ্বাসকারী নির্বাচন কর্মকর্তার প্রত্যাহার চেয়ে চিঠি

ভাইরাল হওয়া অডিওতে শোনা যায়, আব্দুল হান্নান ওই ইউপি মেম্বার প্রার্থীকে বোঝাচ্ছেন; নির্বাচন করতে গেলে প্রতিদিনই ১০ হাজার করে টাকা ব্যয় হবে ও তাতে ৫ থেকে ১০ লাখ টাকা খরচ হবে। সেটি করলেও তাতে নির্বাচিত হওয়ার কোনো গ্যারান্টি নেই। বরং তার সাথে পাঁচ লাখ টাকার চুক্তি করলে তিনি যেভাবেই হোক তাকে জিতিয়ে দিবেন। প্রিজাইডিং অফিসার, সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার ও প্রশাসনের সহযোগিতায় তিনি রফিকুলকে জিতিয়ে দেয়ার প্রতিশ্রুতিও দেন এ সময়।

তবে পুরো অডিও ফাঁস হওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে নির্বাচন কর্মকর্তা আব্দুল হান্নান বলেছেন, একটি পক্ষ মিথ্যা ও ভিত্তিহীনভাবে তার বিরুদ্ধে এসব অডিও তৈরি করে ছড়িয়ে দিয়েছে।

/এনএএস

Exit mobile version