Site icon Jamuna Television

লকডাউনে চায়ের দোকান বন্ধ করে পুলিশ, ক্ষোভে ট্রাফিক সিগন্যালের ২৩০টি ব্যাটারি চুরি!

ছবি: সংগৃহীত

সোনা, গয়না, টাকা থেকে শুরু করে অনেক কিছু চুরির ঘটনার কথা শুনেছেন। কিন্তু কখনও শুনেছেন ট্রাফিক সিগন্যালের ব্যাটারি চুরির ঘটনার কথা? হ্যাঁ, এমন ঘটনাই ঘটেছে ভারতের বেঙ্গালুরুতে। চুরির ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে এক দম্পতিকে। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার।

পুলিশ জানিয়েছে, ২০২১-এর জুন থেকে ২০২২-এর জানুয়ারির মধ্যে ওই দম্পতি ২৩০টি ব্যাটারি চুরি করেছেন। এক একটি ব্যাটারির ওজন ১৮ কেজি। প্রতি কেজি ৭৫ টাকায় বিক্রি করতেন ওই দম্পতি। এভাবে বেঙ্গালুরু শহরের ৬৮টি ট্রাফিক জংশনের সিগন্যালের ব্যাটারি চুরি করেছেন তারা।

আটককৃতরা হলেন, এস সিকান্দর এবং তার স্ত্রী নাজমা সিকান্দর। তাদের দুই সন্তান রয়েছে। সিকান্দর পোশাক বিক্রি করেন। আর নাজমা একটি বেসরকারি সংস্থায় দর্জির কাজ করেন। লকডাউনের আগে চায়ের দোকান ছিল সিকান্দরের। কিন্তু লকডাউনের সময় পুলিশ সেটি জোর করে বন্ধ করে দেয়। তারপর থেকেই পুলিশের ওপর রাগ ছিল তার।

ট্রাফিক সিগন্যালের ব্যাটারি কীভাবে চুরি করতেন তার বর্ণনায় সিকান্দার পুলিশকে জানিয়েছেন, একদিন সিকান্দার এবং তার স্ত্রী স্কুটারে করে যাচ্ছিলেন। ট্রাফিক সিগন্যালে দাঁড়িয়ে থাকার সময় তাদের চোখ পড়ে সিগন্যালের ব্যাটারির বাক্স খোলা। দ্রুত সেই বাক্স থেকে ব্যাটারি খুলে নিয়ে চম্পট দেন তারা। পর দিন চোরাই বাজারে সেই ব্যাটারি বিক্রি করে চার হাজার টাকা পেয়েছিলেন।

তাদের এই ব্যাটারি-অভিযান চলত মূলত রাতের দিকে। রাতে দু’জনেই গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে পড়তেন। সিসিটিভি ক্যামেরায় যাতে তাদের গাড়ির নম্বরপ্লেট ধরা না পড়ে, তাই আগে থেকেই টেলল্যাম্পের তার কেটে রেখেছিলেন। সিগন্যালের খানিক দূর থেকে হেডলাইটও বন্ধ করে দিতেন। তারপর দ্রুত কাজ সেরে পালাতেন।

প্রায় দিনই শহরের কোনো না কোনো ট্রাফিক সিগন্যাল খারাপের খবর আসছিল পুলিশের কাছে। সিগন্যাল কেনো দু’দিন অন্তর খারাপ হয়ে যাচ্ছে তা নিয়ে তদন্তে নামতেই দেখা যায়, সিগন্যালের ব্যাটারি উধাও হয়ে যাচ্ছে। এরপরই বিষয়টিতে নজর রাখতে শুরু করে পুলিশ। সমস্ত ট্রাফিক সিগন্যালের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে তারা। চার হাজার স্কুটারের তথ্য পরীক্ষা করা হয়। সাড়ে তিনশো জন স্কুটারের মালিককে জিজ্ঞাসাবাদ করেন তদন্তকারীরা। সেই সময়ই পুলিশের জালে পড়েন সিকান্দর এবং নাজমা।

ইউএইচ/

Exit mobile version