
বামে নিহত শিশু হামিম।
স্টাফ করেসপনডেন্ট, চাঁপাইনবাবগঞ্জ:
চাঁপাইনবাবগঞ্জে চায়ের দোকানের টেলিভিশন চালু করায় হত্যা করা হয় সাত বছরের এক শিশুকে। হত্যার পর সারাদিন নিজ ঘরে সেই লাশ লুকিয়ে রাখার পর রাতে ফেলে দেয়া হয় পার্শ্ববর্তী একটি ফসলের ক্ষেতে। পুলিশী তদন্তে উঠে এসেছে এমন তথ্য।
মঙ্গলবার (২২ ফেব্রুয়ারি) চাপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার বাঙ্গাবাড়ী ইউনিয়নের দাঁড়িপাতা গ্রামের একটি ফসলের ক্ষেত থেকে সাত বছরের এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত শিশু হামিম (৭) দাঁড়িপাতা গ্রামের রেজাউল করিমের ছেলে।
এ ঘটনায় মুখলেসুর রহমান নামে এক চা দোকানদারসহ ৪ জনকে আটক করে পুলিশ। এদের মধ্যে চা দোকানদারের স্ত্রীও রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পরিবার ও স্থানীয়রা জানায়, সোমবার সকাল থেকে শিশু হামিম নিখোঁজ ছিল। কোথাও তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। আত্মীয়-স্বজনের বাড়িসহ এলাকার বিভিন্ন স্থানে শিশুটির সন্ধানে খোঁজ নেওয়া হয়। কিন্তু তার সন্ধান পাওয়া যায়নি। মঙ্গলবার সকালে এলাকার আলমাস মৌলভির আমবাগানের ক্ষেত থেকে হামিমের মরদেহ দেখতে পায় স্থানীয়রা। খবর পেয়ে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
গোমস্তাপুর থানার ওসি দিলীপ কুমার দাস জানান, নিহত শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য শিশু হামিমের মরদেহ চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞেসাবাদের জন্য চারজনকে আটক করা হয়েছে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহবুব আলম খান জানান, চায়ের দোকানের টেলিভিশন সেট চালু ও বন্ধ করার ঘটনাকে কেন্দ্র করে হত্যাকাণ্ডের শিকার হয় শিশু হামিম। আটক মুখলেসুর রহমান প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেছে।
তিনি আরও জানান, নিহত হামিমের বাড়ির পাশে মুখলেসুর রহামানের চায়ের দোকান। সোমবার সকালে হামিম সেখানে যায় এবং চায়ের দোকানে থাকা টেলিভিশন রিমোটের মাধ্যমে চালু করে। এ সময় মুখলেস তাকে টেলিভিশন বন্ধ করতে বললে সে বন্ধ করে দেয়। কিছুক্ষণ পর হামিম আবারও টেলিভিশন চালু করলে মুখলেসুর ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে মারধর করে এবং একপর্যায়ে তার গলা চেপে ধরলে হামিম মারা যায়। পরে রাত ৯টার দিকে মুখলেসুর নিহত শিশু হামিমের লাশ পার্শ্ববর্তী ফসলের ক্ষেতে ফেলে আসে। বুধবার আমরা মুখলেসুরকে আদালতের নিকট সোপর্দ করব।
জেডআই/



Leave a reply