Site icon Jamuna Television

মুক্তিপণ চেয়ে মালিককে ফোন, না পেয়ে দুই নৈশপ্রহরীকে হত্যা

ফাইল ছবি।

বগুড়া ব্যুরো:

বগুড়ায় নিখোঁজের একদিন পর কারখানার সেপটিক ট্যাংক থেকে মিলেছে দুই নৈশপ্রহরীর মরদেহ। শুক্রবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে শহরের ফুলবাড়ি এলাকায় বিসিক শিল্প নগরীর মাসুদ মেটাল ইন্ডাস্ট্রির সেপটিক ট্যাংকের ভেতর থেকে আবদুল হান্নান ও সামসুল হক নামের ওই দুই নৈশপ্রহরীর লাশ উদ্ধার করা হয়। নিখোঁজের পর নিহতদের স্বজন ও কারখানার মালিকের কাছে মুক্তিপণ চাওয়া হয়েছিল বলেও জানা গেছে।

গত বুধবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) রাতে দায়িত্ব পালন করতে কারখানায় আসেন আবদুল হান্নান ও সামসুল হক। পরদিন সকাল থেকেই নিখোঁজ ছিলেন তারা। পরে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে এসএমএস ও ফোন আসে কারখানার মালিক এবং তাদের স্বজনদের কাছে।

কারখানার মালিক সাজ্জাদুর রহমান জানান, বৃহস্পতিবার সকালে অপরিচিত একটি নাম্বার থেকে তার মোবাইলফোনে এসএমএসের মাধ্যমে জানানো হয়, কারখানার দুই নৈশপ্রহরী আবদুল হান্নান ও সামসুল হককে আটকে রাখা হয়েছে। বিকেল ৫টার মধ্যে লালমনিরহাট রেলস্টেশন এলাকায় ৫ লাখ টাকা পৌঁছালে তাদের ছেড়ে দেয়া হবে। পরে খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, ওই দুজন কারখানাতেও নেই, ডিউটি শেষে বাড়িতেও যাননি।

ওইদিন দুপুরে প্রহরী হান্নানের স্ত্রীকে ফোন দিয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তি জানায়, কারখানার মালিকের সঙ্গে তার ঝামেলা রয়েছে, তাই প্রহরীদের আটকে রাখা হয়েছে। মালিক ৫ লাখ টাকা পাঠালে তাদের ছেড়ে দেয়া হবে।

শুক্রবার সকাল থেকে কারখানা মালিকের ফোনে আবারও কয়েক দফা এসএসএস আসে। তাতে লেখা ছিল ‘তোমাদের কিন্তু বিপদ আছে।’ এমন বার্তা পাওয়ার পর দুপুর থেকে কারখানার চারপাশে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন শ্রমিকরা। একপর্যায়ে কারখানার একটি সেপটিক ট্যাংকের ভেতর থেকে পাওয়া যায় হান্নান ও সামসুলের মরদেহ।

বিষয়টি এরই মধ্যে জানানো হয়েছে পুলিশকে। দোষীদের খুঁজতে চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।

এসজেড/

Exit mobile version