রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধের যে প্রভাব পড়বে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে

|

ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনে উদ্বিগ্নতা বাড়ছে দেশের রফতানিকারকদের মধ্যে। রুশ বাহিনীর আক্রমণে এরই মধ্যে আন্তর্জাতিক বাজারে বেড়েছে জ্বালানি তেলের দাম। যুদ্ধ দীর্ঘায়িত হলে বাড়বে তুলার দামও, যার প্রভাব পড়বে পোশাক উৎপাদন খরচে।

বেশকয়েক দিনের উত্তেজনার পর বৃহস্পতিবার ইউক্রেনে আক্রমণ চালায় রাশিয়া। যুদ্ধ শুরুর পরই চিন্তার ভাঁজ পড়েছে রফতানিকারকদের কপালে।

বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) সহ-সভাপতি শামীম এহসান বলছেন, টাকার অংকে দেশ দুটিতে রফতানির পরিমাণ তুলনামূলক কম। গত অর্থবছরে মোট রফতানি হয় ৭০ কোটি ডলারের পণ্য। এর মধ্যে পোশাকের পরিমাণ ৬০ কোটি ডলার। তবে যুদ্ধের প্রভাব আশেপাশের দেশগুলোতে ছড়িয়ে পড়লে পোশাক শিল্পে বড় ধরনের প্রভাব পড়বে। একই কথা বলছেন গার্মেন্টস বায়িং হাউজ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি কাজী ইফতেখার হোসেন। তিনি বললেন, রাশিয়া যেতে ইউরোপের ট্রানজিট প্রয়োজন হয়, সেটা না পেলে খাতটি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

যুদ্ধ এবং নিষেধাজ্ঞা আরোপের ফলে রাশিয়ায় রফতানি করা পণ্যের মূল্য পরিশোধ নিয়েও জটিলতা দেখা দিতে পারে। জ্বালানি তেলের পর তুলার দামও বাড়লে সেটি পোশাক শিল্পকে ভোগাবে বলেও আশঙ্কা তাদের।

বিশ্বব্যাংক ঢাকা অফিসের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন বলছেন, অর্থনীতির ওপর প্রভাব পড়তে পারে। তাছাড়া বিশ্ব অর্থনীতি দ্বিতীয় মন্দার দিকে গেলে আরও বড় সংকট তৈরি হতে পারে। যুদ্ধ শেষ হলেও নিশেধাজ্ঞা সহজে শেষ হবার সম্ভাবনা কম। এটিকে কেন্দ্র করে মন্দার কবলে পড়তে পারে পশ্চিমা দেশগুলোও। আর সেটি হলে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে রফতানি খাতেও।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে রফতানি খাত ছাড়াও স্বল্প এবং দীর্ঘমেয়াদে আরও কিছু খাতে প্রভাব পড়বে বলেও আশঙ্কা অর্থনীতিবিদদের।

/এডব্লিউ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply