Site icon Jamuna Television

এক পোয়া চাল কিনে পরিবারের জন্য ভাত রান্না করছেন আছিয়া

রাস্তার পাশে কালাই রুটি ও পিঠা বিক্রি করে পরিবার চালান আছিয়া খাতুন। ব্যয় বাড়ায় পরিবার নিয়ে এখন আধপেট খেয়ে থাকতে হয় তাকেও। আছিয়া জানালেন, সকালে এক পোয়া চাল কিনে পরিবারের জন্য ভাত রান্না করে রেখে কাজে এসেছেন তিনি।

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে এমনই বিপাকে প্রান্তিক মানুষ। অন্যান্য এলাকার তুলনায় রাজশাহীতে শিল্পকলকারখানা ও কর্মসংস্থানের অভাব থাকায় প্রান্তিকের সে দুর্ভোগ আরো বেশি। জিনিসপত্রের দাম নিয়ে তাদের হতাশা কেবল দীর্ঘায়িতই হচ্ছে। সাধারণ মানুষ বলছেন, জীবনযুদ্ধে দারুণ কষ্টে আছেন তারা। প্রান্তিকের ভুক্তভোগীরা বলছেন, সাম্প্রতিক সময়ে তিনবেলা খাবারের জন্য দরকারি এমন কোনো পণ্য নেই যার দাম বাড়েনি। দৈনন্দিন নিত্যপণ্যের মূল্য বৃদ্ধি ও প্রাত্যহিক ব্যয়ে শোচনীয় অবস্থা তাদের।

আছিয়ার মতো অবস্থা রাজশাহী দুর্গাপুরের আবু কালামেরও। নগরে এসেছেন শ্রম বিক্রি করতে। আয় না বাড়লেও চাল, তেলের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় নিদারুণ কষ্টে জীবন যাপন করছেন কালাম। ভাসমান শ্রমিক তৈয়ব আলী গত ৪ দিনেও জোটাতে পারেননি কাজ। গ্রাম থেকে অধিক সংখ্যক শ্রমিক নগরে কাজের সন্ধান করায় এমন দুরবস্থা। তিনি জানান, একদিকে কাজের সংকট অন্যদিকে ঘন ঘন দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন বৃদ্ধি। এতে সংসার চালাতে ত্রাহী অবস্থা। বাসা ও মেসে বুয়ার কাজ করে ৪ সদস্যের পরিবার চালান নাজমা। সামান্য আয়ে কুলিয়ে উঠতে না পেরে দিশেহারা তিনিও।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগ অধ্যাপক ড. ইলিয়াস হোসেন জানালেন, সম্প্রতি রাজশাহী অঞ্চলে পরিচালিত এক গবেষণায়ও উঠে এসেছে আয়ের সাথে ব্যযের সঙ্গতি না থাকায় অবর্ণনীয় দুর্ভোগে রয়েছেন প্রান্তিক মানুষ।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, সাম্প্রতিক সময়ে রাজশাহীতে খুব বেশি বদল হয়নি দারিদ্র্য পরিস্থিতি। দারিদ্র্যের হার এখানে ২০ দশমিক ১ শতাংশ।

/এডব্লিউ

Exit mobile version