Site icon Jamuna Television

ঘরে বানানো হাত বোমায় গেরিলা যুদ্ধে অংশ নিচ্ছে ইউক্রেনীয়রা

ছবি: সংগৃহীত

সামরিক সক্ষমতায় শীর্ষ রাষ্ট্র রাশিয়ার সামনে নিতান্তই পুঁচকে ইউক্রেন। নেই প্রয়োজনীয় অস্ত্র-গোলাবারুদ, জানা নেই পরাক্রমশালী রাশিয়াকে ঠেকানোর রণকৌশলও। তবু, শত্রুপক্ষের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক লড়াইয়ে নেমেছেন দেশটির সাধারণ মানুষ। গেরিলা পদ্ধতিই তাদের একমাত্র হাতিয়ার। ঘরেই বানাচ্ছেন ককটেল। রুশ ট্যাংক বিপথে নিতে সরানো হচ্ছে রোড সাইন। মুছে দেয়া হচ্ছে চলাচলের চিহ্ন। এমনকি, যোগাযোগে বিঘ্ন ঘটাতে গাছ কেটে ফেলে রাখা হচ্ছে রাস্তায়।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, রাশিয়ার ট্যাংক-মিসাইল হামলার মুখে লাখো মানুষ যখন সীমান্ত পাড়ি দিচ্ছেন। আশ্রয় নিচ্ছেন প্রতিবেশী দেশগুলোয়। সেসময়, পরিবার-দেশ মাতৃকার টানে অনেকেই ফিরছেন নিজ ভূখণ্ডে।

জুলিয়া পেলিউখ করনিসুক নামের এক ইউক্রেনীয় নাগরিক বলেন, আমার দুই সন্তান ও মা সবাই ইউক্রেনে। তারা মৃত্যুঝুঁকিতে দিন গুণছে। যেকোনো মূল্যে আমি দেশে ফিরতে চাই। মাতৃভূমিকে রক্ষায় প্রয়োজনে অস্ত্র তুলে নিবো। রুশ সেনাদের গুলি করতে বিন্দুমাত্র ভয় পাই না। তারা শান্তিতে ঘেরা, সুন্দর একটি রাষ্ট্র তছনছ করে দিচ্ছে। আমি বিশ্বাস করি, অন্যায়ের বিরুদ্ধে ইউক্রেনের জয় সুনিশ্চিত।

শুধু জুলিয়া-ই নন। ইউক্রেনের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় শহর ‘নিপরো’তে রীতিমতো চলছে গেরিলা যুদ্ধের প্রস্তুতি। টগবগে তরুন প্রজন্মের সাথে কাঁধে-কাঁধ মিলাচ্ছেন প্রবীনরাও। ফ্রন্টলাইনার্সদের তালিকায় নাম তুলেই, হাত লাগাচ্ছেন বোমা তৈরিতে।

ইউক্রেনের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোয় ঘুরে বেড়াচ্ছে, ঘরোয়া পদ্ধতিতে ককটেল বানানোর ফর্মূলা। সেগুলোকেই কাজে লাগাচ্ছেন যুদ্ধে যোগদানে মরিয়া সাধারণ মানুষ। ইউক্রেনের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দাবি, কমপক্ষে ২০ হাজার বেসামরিক নাগরিককে দেয়া হয়েছে, ছোট-বড় অস্ত্র। ১৮ থেকে ৬০ বছর বয়সী নাগরিকদের ইউক্রেন না ছাড়ার অনুরোধও জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট।

/এনএএস

Exit mobile version