Site icon Jamuna Television

যেভাবে দিন কাটছে বাঙ্কারে থাকা ইউক্রেনীয়দের

ছবি: সংগৃহীত।

কিছুদিন আগেও কিয়েভের বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্টে থাকা মানুষগুলোর এখন মাথা গোঁজার ঠাই আন্ডারগ্রাউন্ড মেট্রোস্টেশন। যুদ্ধের ভয়াবহতায় নিমেষেই বদলে গেছে সাজানো-গোছানো জীবন। রুশ আগ্রাসন থেকে প্রাণ বাঁচাতে ঘর ছাড়ছেন হাজারও মানুষ। পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ছুটছেন নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে। শহর ছাঁড়তে না পারায়, শেষ ভরসা বাঙ্কার বা বম্ব শেল্টার। উদ্বেগ-আতঙ্কে সেখানেই কাটছে প্রত্যক মুহূর্ত।

অল্প জায়গায় বহু মানুষ দিন পার করছেন এসব বাঙ্কারগুলোতে। গাদাগাদিতে রীতিমতো শরণার্থী শিবিরে পরিণত হয়েছে জায়গাগুলো। নাগরিক সুবিধাহীন জায়গায় মানবেতর দিন কাটাচ্ছেন বাসিন্দারা। নেই খাবার, ওষুধ, পানির মতো মৌলিক সুযোগ-সুবিধা। সবচেয়ে বিপাকে শিশু ও প্রবীণরা।

মেট্রে স্টেশনে আশ্রয় নেয়া এক ব্যক্তি বলেন, সারারাত দু’চোখের পাতা এক করতে পারিনি। সাইরেনের শব্দে সারাক্ষণ তটস্থ থাকি। শহর ছাড়ার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছি। শেষমেষ মেট্রো স্টেশনের আন্ডারগ্রাউন্ড হলো আশ্রয়স্থল।

বাঙ্কারে অবস্থান নেয়া এক তরুণী জানান, জীবন বাঁচাতে বাঙ্কারে আশ্রয় নিয়েছি। সবাই ভীষণ ভালো, সাহায্য করার চেষ্টা করছে। খাবার ভাগাভাগি করে নিচ্ছে। যেন একই পরিবারের সদস্য।

বাঙ্কারে আশ্রয় নেয়া আরেক ব্যক্তি বলেন, এখানে অনেকটা নিরাপদ বোধ করছি। রুশ বাহিনী যদি কোনোভাবে আমাদের ঘরবাড়ি টার্গেট করে, তাতে যে কোনো সময় হতে পারে দুর্ঘটনা। তাই, বাড়ির তুলনায় এ জায়গাটাই বেশি নিরাপদ।

রুশ বাহিনীর সাঁড়াশি আক্রমণে আবাসিক এলাকাগুলোও ছড়িয়েছে আতঙ্ক। প্রাণহানির আশঙ্কায় খোলা জায়গা বা জানালার কাছে অবস্থান না করার নির্দেশনা প্রশাসনের।

আরও পড়ুন: প্রথমবারের মতো ইউক্রেনে অস্ত্র পাঠাচ্ছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন

২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করে রাশিয়া। জাতিসংঘ বলছে, সাম্প্রতিক উত্তেজনায় দেশটিতে বাস্তুচ্যুত দেড় লাখের বেশি মানুষ।

জেডআই/

Exit mobile version