Site icon Jamuna Television

ঘুষ না পেয়ে ৩ শিক্ষকের বেতন আটকে দেয়ার অভিযোগ অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে

পাবনা প্রতিনিধি:

পাবনার ভাঙ্গুড়ায় খানমরিচ ইউনিয়নের ‘খানমরিচ টেকনিক্যাল এন্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজে’ নতুন এমপিওভুক্ত ৩ শিক্ষকের বকেয়া প্রায় পনের লাখ টাকা বেতন-ভাতা আটকে রাখার অভিযোগ উঠেছে প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ মোফাজ্জল হোসেন সাগরের বিরুদ্ধে। কলেজের অবকাঠামোগত উন্নয়নের কথা বলে ওই শিক্ষকদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা না পেয়ে গত একমাস ধরে বেতন-ভাতা আটকে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী শিক্ষকরা।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, খানমরিচ টেকনিক্যাল এন্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজের কলেজ শাখা ২০০৪ সালে এমপিওভুক্ত হয়। এরপর ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসে এই প্রতিষ্ঠানের নবম ও দশম শ্রেণি (ভোকেশনাল শাখা) এমপিওভুক্ত হয়। এই শাখার গনিত বিষয়ের রাফিউল ইসলাম, রেশমা খাতুন, ভাষার শিক্ষক রেবেকা খাতুন ও কম্পিউটার ডেমোনেস্ট্রেটর আব্দুল মন্নাফ গত জানুয়ারি মাসে এমপিও ভুক্ত হয়।

এদের মধ্যে আব্দুল মুন্নাফ ছাড়া অন্যদের প্রায় ৫ লক্ষ টাকা করে এরিয়া বেতন গত মাসের শুরুতে ব্যাংকে জমা হয়। কিন্তু এক মাস ধরে অধ্যক্ষ মোফাজ্জল হোসেন এসব শিক্ষকদের বেতন স্ব-স্ব একাউন্টে জমা করেননি। এতে ভুক্তভোগী শিক্ষকরা বেশ কিছুদিন ধরে অধ্যক্ষকে অনুরোধ করলেও নানা টালবাহানা করে বেতন জমা করছেন না। অবশেষে এই অধ্যক্ষ প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামোগত উন্নয়নের কথা বলে প্রত্যেক শিক্ষকের কাছ থেকে ৬ লাখ টাকা করে দাবি করেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ভুক্তভোগী একাধিক শিক্ষক বলেন, এক যুগেরও বেশি সময় ধরে বিনা বেতনে চাকরি করে মানবেতর জীবন যাপন করেছি। এখন ইনডেক্সধারী শিক্ষক হলেও বেতন-ভাতা তুলতে পারছি না। এতে মারাত্মক মনোঃকষ্টে ভুগছি। অধ্যক্ষের ভয়ভীতি দেখানোর কারণে মুখ ফুটে কাউকে কিছু বলতে পারছি না। তাই এখন অধ্যক্ষের দয়ার উপর নির্ভর করে আছি।

অভিযোগের বিষয়ে অধ্যক্ষ মোফাজ্জল হোসেন সাগর বলেন, ঘুষ দাবি করার বিষয়টি ভিত্তিহীন। কাগজপত্রের ত্রুটি ও কিছু বিশেষ সমস্যার কারণে তাদেরকে বেতন দেওয়া হয়নি। তবে সমস্যার সমাধান হয়ে গেছে। আশাকরি বেতন দিয়ে দিতে পারব। কিন্তু কী সমস্যা হয়েছিল তিনি তা বলতে রাজি হননি।

জেডআই/

Exit mobile version