Site icon Jamuna Television

মাগুরা সদর হাসপাতালে দুর্ভোগের শেষ নেই

ছবি: সংগৃহীত

মাগুরা আড়াইশ’ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে নানা অব্যবস্থাপনা বাসা বেঁধেছে। দেড় বছর ধরে জেনারেল এনেসথেসিয়া মেশিন নষ্ট থাকায় বন্ধ রয়েছে জটিল রোগের অপারেশন। এছাড়া রোগ নির্ণয় পরীক্ষাতেও রয়েছে নানা সীমাবদ্ধতা। ফলে বেসরকারি ডায়াগনস্টিক সেন্টার-ক্লিনিকে যেতে বাধ্য হচ্ছেন রোগীরা। যেখানে সেবার নামে অনেক সময় ভুল চিকিৎসা ও প্রতারণার শিকার হচ্ছেন তারা। আর বাড়তি খরচের বোঝা তো আছেই।

মাগুরার প্রায় ১০ লাখ মানুষের স্বাস্থ্যসেবার প্রধান ভরসা আড়াইশ’ শয্যার হাসপাতালটি। জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রতিদিন হাজারো মানুষ সেবা নিতে আসেন সরকারি এই সেবাকেন্দ্রে। অথচ দেড় বছর ধরে নষ্ট হাসপাতালের জেনারেল এনেসথেসিয়া মেশিন। ফলে বন্ধ জটিল রোগের অপারেশন।

এছাড়াও সময়মতো চিকিৎসকের দেখা না মেলা, রোগ নির্ণয় পরীক্ষার সীমিত সুযোগ, বিনামূল্যের ওষুধ বঞ্চনা ও নোংরা পরিবেশের অভিযোগ তো আছেই।

চিকিৎসা নিতে আসা এক রোগী জানান, আমি আজ ৮ দিন এখানে এসেছি। অপারেশন করা লাগবে কিন্তু এখন পর্যন্ত কেউ এখানে আসেনি। আবার কেউ কেউ বলছেন, গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ বাদে প্রত্যেকটি ওষুধ তাদের বাহিরে থেকে কিনে আনতে হয়েছে।

জেলার প্রধান এই সরকারি হাসপাতালের অব্যবস্থাপনা ও নানা সংকটের কারণে রমরমা ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ক্লিনিক বাণিজ্য। দালাল চক্রের মাধ্যমে এসব প্রতিষ্ঠানে গিয়ে অনেক সময় অবহেলাজনিত চিকিৎসা ও প্রতারণার শিকার হচ্ছেন রোগীরা। গুণতে হচ্ছে বাড়তি খরচ।

মাগুরা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. এ এস এম মারুফ হাসান বলেন, অপারেশন থিয়েটারে বিদ্যমান সমস্যাগুলো সমাধানে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেয়া হয়েছে।

বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবায় অরাজকতার বিষয়টি স্বীকার করছেন সিভিল সার্জন ডা. শহিদুল্লাহ দেওয়ান। ব্যবস্থা নিতে গিয়ে বাধা ও অপপ্রচারের শিকার হয়েছেন বলেও দাবি করেন তিনি। চিকিৎসা নিতে রোগীদের সরকারি হাসপাতালমুখি হওয়ার আহ্বান সিভিল সার্জনের।
আরও পড়ুন: মাগুরায় পুলিশি বাধা উপেক্ষা করে বিএনপির মিছিল, আহত ১০
ইউএইচ/

Exit mobile version