Site icon Jamuna Television

শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ মসজিদের মুয়াজ্জিনের বিরুদ্ধে

গ্রেফতারকৃত মুয়াজ্জিন মোরসালীন।

গাইবান্ধা প্রতিনিধি:

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে ১০ বছর বয়সের এক শিশুকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত মোরসালীনকে (১৯) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মোরসালীন একটি মসজিদের মুয়াজ্জিন হিসেবে দায়িত্বরত। সে নীলফামারী জেলার ডোমার উপজেলার জাহিদুল ইসলামের ছেলে।

বৃহস্পতিবার (৩ মার্চ) বিকেলে গাইবান্ধা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান পুলিশ সুপার মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম। তিনি জানান, গত ২৬ ফেব্রুয়ারি সকালে প্রতিদিনের মতো বাড়ি থেকে মোক্তবে আরবি পড়তে যায় এই শিশু। এরপর সকাল ৯টার দিকে মোরসালীন শিশুটিকে ডেকে মসজিদের পাশে তার থাকার টিনসেডের ঘরে নিয়ে যায়। সেখানে ধর্ষণের চেষ্টা করলে শিশুটি বাঁধা দিয়ে ঘটনাটি তার স্বজনদের বলে দেয়ার হুমকি দেয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে মোরসালীন তার গলা চেপে ধরে। একপর্যায়ে শিশুটি নিস্তেজ হয়ে পড়লে তাকে ধর্ষণ করে মোরসালীন। এরপর শিশুটির শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়।

পুলিশ সুপার আরও জানান, হত্যার পরেই মসজিদে থাকা বালু ভর্তি বস্তা খালি করে মোরসালীন তার লাশ বস্তা বন্দি করে। পরে সকাল ১১টার দিকে মোরসালীন নিজের বাইসাকেলের ক্যারিয়ারের পেছনে বস্তাটি বেঁধে দুই কিলোমিটার দূরের একটি বাঁশঝাড়ের ভেতর ফেলে দেয়। এরপর খোঁজাখুজি করেও শিশুটির সন্ধান না পেয়ে গোবিন্দগঞ্জ থানায় একটি জিডি করেন তার পরিবার। পরদিন স্থানীয়রা বাঁশঝাড়ে বস্তাভর্তি লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়।

পরে পুলিশ তদন্ত গত ২৮ ফেব্রুয়ারি মোরসালীনকে গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্ত ধর্ষণ ও হত্যার কথা স্বীকার করে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছে পুলিশ। এছাড়া হত্যায় জড়িত সন্দেহে আরাফাত, আব্দুল্লাহ আল মামুন ও আল-আমিন নামে গ্রেফতার তিনজনের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান পুলিশ সুপার।

এসজেড/

Exit mobile version