Site icon Jamuna Television

আজ আন্তর্জাতিক কিডনি দিবস

ছবি: সংগৃহীত

চিকিৎসা সচেতনতার লক্ষ্য নিয়ে আজ বিশ্বব্যাপী পালিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক কিডনি দিবস। দেশে প্রতিদিন গড়ে একশোর বেশি মানুষ মারা যান কিডনির রোগে। তবু চিকিৎসা পৌছায়নি মানুষের দোর গোড়ায়। উপজেলা পর্যায়ে ডায়ালাইসিসসহ কিডনি চিকিৎসা চালুর পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের। সেই সাথে দরকার কিডনির রোগ সম্পর্কে সচেতনতা।

বলা হয়ে থাকে প্রতি দশ জনের একজন কিডনির সমস্যায় ভুগছেন। এক জরিপ বলছে, প্রতিমাসে ৩ হাজারের বেশি মানুষ মারা যায় কিডনি বিকল হয়ে।

কিডনি রোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. কাজী শাহনূর আলম বলেন, কিডনির রোগের প্রধান ৩টি কারণ হলো ডায়বেটিস, উচ্চরক্তচাপ ও নেফ্রাইটিস (কিডনিতে প্রদাহ)। ডায়বেটিসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা প্রতিদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এছাড়া দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলো তো বটেই এমনকি সব জেলা শহরেও নেই ডায়ালাইসিসের সুবিধা। আর কিডনির চিকিৎসার খরচও প্রায় আকাশচুম্বী।

এ ব্যাপারে জাতীয় কিডনি ইনস্টিটিউটের পরিচালক ডা. মো. মিজানুর রহমান বলেন, বাংলাদেশের ২ কোটি মানুষ কোনো না কোনোভাবে কিডনির রোগে আক্রান্ত। প্রতিদিন আমাদের বহিঃবিভাগে সাত থেকে আটশো রোগী আসেন কিডনির বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে। আমাদের এখানে প্রথম পাঁচটি ট্রান্সপ্লান্ট আমরা বিনামূল্যেই করেছিলাম। তবে এখন যারা ট্রান্সপ্লান্ট করাবেন তাদেরকে নামমাত্র মূল্যে কিছু ঔষধ কিনতে হবে যার খরচ কোনোক্রমেই ৫০ থেকে ৬০ হাজারের বেশি হবে না।

দুর্বল বা বিকল কিডনির চিকিৎসায় মূল ভরসা ডায়ালাইসিস। এর বাইরে কিডনি ট্রান্সপ্লান্ট দিতে পারে দীর্ঘ উপসম। সেক্ষেত্রে, নিকট আত্মীয় বা মৃত দাতার কিডনি নেয়ার সুযোগ আছে আইন অনুযায়ী। তবে সচেতনতার অভাব সেখানে বড় বাধা। এ ব্যাপারে অধ্যাপক ডা. কাজী শাহনূর আলম বলেন, একজন মৃত ব্যক্তি তার কিডনি দুজনকে দিতে পারেন। এভাবে একজনের পক্ষেই সম্ভব দুইজনকে ডোনেট করা। এভাবে ডোনেশনের সংখ্যা বাড়ানো যায়। এভাবেই বাইরের দেশগুলোতে কিডনি ডোনেট করা হয়। উন্নত দেশগুলোর অধিকাংশ ডোনারই কিন্তু মরণোত্তর কিডনি ডোনেট করে যান। দেখা যায়, এভাবে ৭০ শতাংশ কিডনির আসছে মরণোত্তর দানের মাধ্যমেই। আর বাকি ৩০ শতাংশ দেন জীবিত ডোনাররা। বাংলাদেশে আমরা অশিকাংশ ক্ষেত্রেই নির্ভর করি জীবিত ডোনারদের ওপর।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাংলাদেশে কিডনির রোগে আক্রান্তদের অর্ধেকই কর্মক্ষম যুবক। এর প্রতিকারে নিয়মিত পর্যাপ্ত পানি পান ও সুশৃঙ্খল জীবন যাপনের পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।


/এসএইচ

Exit mobile version