Site icon Jamuna Television

বরিশাল মেডিকেলের নার্সকে মারধর, ৩ পুলিশ সদস্য প্রত্যাহার

বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেলের এক নার্স (ব্রাদার)-কে হাসপাতালরে ভেতরেই মারধরের ঘটনায় ট্যুরিস্ট পুলিশের ৩ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

বুধবার (৯ মার্চ) রাত পৌনে ১২টার দিকে ঐ ব্রাদারকে মারধর করেন অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যরা। তিনি হাসপাতালের জরুরী বিভাগের কাউন্টারে দায়িত্বরত ছিলেন।

হাসপাতালের দ্বিতীয় তলায় চিকিৎসাধীন ঐ সিনিয়র স্টাফ নার্স (ব্রাদার) সাইফুল ইসলাম অভিযোগ করেন, রাত পৌনে ১২টার দিকে এক আহত ব্যাক্তিকে নিয়ে ৬-৭ জন হাসপাতালের জরুরী বিভাগে আসেন। তারা নিজেদের ট্যুরিস্ট পুলিশ পরিচয় দিয়ে ভর্তির টিকেট চান। ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে আহতের নাম জানতে চাইলে সাথে থাকা পুলিশ সদস্যরা উত্তেজিত হয়ে উঠেছেন। এক পর্যায়ে দরজা ভেঙে কাউন্টারে ঢুকে তাকে মারধর করা হয়।

আহত ট্যুরিস্ট পুলিশের বরিশাল রিজিওনাল অফিসের কর্মরত পরিদর্শক সালাউদ্দিন মামুন হাসপাতালের ৪ তলায় সার্জারি-১ ইউনিটে চিকিৎসাধীন আছেন। তিনি জানান, বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা উপলক্ষে বুধবার রাতে পুলিশ লাইনে আয়োজিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ শেষ বাসায় ফিরছিলেন। নগরীর রূপাতলী এলাকায় একটি এ্যাম্বুলেন্সের ধাক্কায় গুরুতর আহত হয়ে ঘটনাস্থলেই জ্ঞান হারান তিনি। গভীর রাতে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার জ্ঞান ফিরেছে। তাই নার্সের উপরে হামলার বিষয়ে কিছুই জানা নেই বলে জানান তিনি।

এদিকে হামলার ঘটনায় বিচারের দাবিতে হাসপাতালের পরিচালক এএইচএম সাইফুল ইসলামের কক্ষে অবস্থায় নেয় নার্সরা। হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. মো. মনিরুজ্জামান বলেন, হাসপাতালে কর্তব্যরত নার্সদের দুই-তৃতীয়াংশ পরিচালকের কার্যালয়ে জড়ো হয়েছিলো। বাকিরা নিয়মিত দায়িত্ব পালন করেছেন। পুলিশ ও হাসপাতাল প্রশাসন জড়িতদের বিচারের আশ্বাস দিলে সবাই কাজে ফিরেছে।

বরিশাল ট্যুরিস্ট পুলিশের রিজিওনাল পুলিশ সুপার রেজাউল করিম তখনই বলেছিলেন, ঘটনার সময়ের সিসিটিভি ফুটেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে আমরা সংগ্রহ করেছি। যারা ঘটনার সাথে জড়িত ফুটেজ দেখে চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

জেডআই/

Exit mobile version