৩ পণ্যে ভ্যাট প্রত্যাহারের প্রভাব নেই খুচরা বাজারে। রাজস্ব বোর্ডের আনুষ্ঠানিক ঘোষণার অপেক্ষায় সবাই। তবে নতুন করে ছোলা ও চিনির দাম বাড়েনি। সরবরাহ বেড়েছে ভোজ্যতেলের। ব্যবসায়ীরা বলছেন, সরকারের নতুন সিদ্ধান্তের ফলে উৎপাদকরা কারসাজি করতে পারবে না। তবে শঙ্কা কাটছে না ক্রেতাদের।
দেশে যে কোনো নিত্যপণ্যের দাম বাড়ার সিদ্ধান্ত তাৎক্ষণিক কার্যকর হয়। কিন্তু দাম কমার সিদ্ধান্তে প্রভাব পড়ে বেশ ধীর গতিতে। তাই বৃহস্পতিবার বিকেলে তেল, চিনি ও ছোলার ভ্যাট প্রত্যাহার নিয়ে খুব একটা আলোচনা নেই। কারওয়ানবাজারে কেনাকাটা চলছে আগের নিয়মেই।
তবে বিক্রেতাদের শঙ্কা কেটেছে। তাই দোকানে সয়াবিন তেল রাখছেন তারা। দাম কমেছে নামকাওয়াস্তে। জানা গেলো, ব্র্যান্ডভেদে ৭৮০ টাকার আশপাশে মিলছে ৫ লিটারের বোতল। তবে খোলা তেল কিনলে টাকা লাগবে আগের মতই। ৬০ টাকা কেজি দরে বিকোচ্ছে রমজানের গুরুত্বপূর্ণ পণ্য ছোলা। সাদা চিনির কেজি ৭২ থেকে ৭৫ টাকা। সাধারণ মানুষের প্রশ্ন, ভ্যাট প্রত্যাহারের প্রভাব পড়বে কবে?
রোজার আগে মাসের কেনাকাটা সারছেন অনেক ক্রেতা। দাম আরও বাড়ার শঙ্কায়, বাড়িতে তেল মজুদও করেছেন অনেকে। সরকারের ভ্যাট মওকুফের ঘোষণায় তাদের খুব একটা মাথাব্যথা নেই। অভিযোগ, প্রতি বছর রমজানের আগে কোনো না কোনো পণ্য নিয়ে জটিলতা হয়। এবারও তার ব্যতিক্রম নয়।
বাংলাদেশ এডিবল অয়েল লিমিটেড হেড অব অপারেশন মো. ফখরুজ্জামান জানান, আগে রিফাইন করা পণ্যে দাম কমার সুযোগ নেই। রাজস্ব বোর্ড বিস্তারিত জানালে, নতুন চালান ছাড় হবে। তারপরই সয়াবিন ও পাম অয়েলের দাম কমার প্রশ্ন আসবে।
ভোজ্যতেল আমদানিতে সরকারকে সহনীয় মাত্রায় ভ্যাট নেয়ার আহ্বান জানিয়েছে রিফাইনারি কোম্পানি।
/এডব্লিউ

