
জাপানে নিযুক্ত ইউক্রেনের রাষ্ট্রদূত সের্গেই কোনসানস্কি
সময় যতো গড়াচ্ছে ততোই আগ্রাসী হয়ে উঠছে পুতিন বাহিনী। একের পর এক নতুন শহরে চালানো হচ্ছে ধ্বংসযজ্ঞ। যার বেশিরভাগই, হাসপাতাল এবং আবাসিক ভবন। রুশ সেনাদের হামলার ধরন আর কৌশল দেখে আতঙ্কিত জেলেনস্কি সরকার। যে কোনো মুহূর্তে রুশ প্রেসিডেন্ট ইউক্রেনে পরমাণু হামলা চালাতে পারে বলে আশঙ্কা তাদের।
ইউক্রেনে যে কোন মুহূর্তে পারমানবিক বোমা হামলা চালাতে পারে রাশিয়া, আবারও এমন আশঙ্কার কথা জানিয়েছে জেলেনস্কি সরকার। জাপানে নিযুক্ত ইউক্রেনের রাষ্ট্রদূত সের্গেই কোনসানস্কি বলেছেন, জেলেনস্কিকে হটিয়ে ইউক্রেনে যে পুতুল সরকার বানানোর মিশনে রাশিয়া নেমেছে, তা কখনও মানা হবে না। এদিকে, রুশ প্রতিরক্ষা দফতর জানিয়েছে, দনবাসে রাশিয়ার হয়ে যুদ্ধ করতে চায় মধ্যপ্রাচ্যের ১৬ হাজার স্বেচ্ছাসেবক।
জাপানে নিযুক্ত ইউক্রেনের রাষ্ট্রদূত সের্গেই কোনসানস্কি বলেন, রাশিয়ার নিয়ন্ত্রিত সরকার ব্যবস্থা আমরা কখনও মানবো না। আমরা স্বাধীনভাবে বাঁচতে চাই। আসলে কোনো কারণ ছাড়াই আমাদের যুদ্ধ করতে হচ্ছে। পুতিন যেভাবে আগ্রাসী আচরণ করছেন তাতে এটা পরিষ্কার যে তার পক্ষে পরমাণু অস্ত্রের ব্যবহার অস্বাভাবিক কিছু নয়।
যদিও এসব অভিযোগ কানেই তুলছেন না রুশ প্রেসিডেন্ট। পাল্টা ইউক্রেন বাহিনীর সাথে রাশিয়ার হয়ে যুদ্ধের জন্য দনবাসে ১৬ হাজার স্বেচ্ছাসেবী পাঠানোর কথা জানিয়েছেন পুতিন। যাদের বেশিরভাগই সিরিয়ার নাগরিক বলে জানা গেছে। ভ্লাদিমির পুতিন বলেন, আন্তর্জাতিক আইন অমান্য করে পশ্চিমারা ইউক্রেনে যে ভাড়াটে খুনি পাঠিয়েছে তা সবারই জানা। তাদের মোকাবেলার জন্য নয়, যদি কেউ স্বেচ্ছায় দোনবাসবাসীকে সহায়তায় কাজ করতে চায় তাদেরকে আমরা স্বাগত জানাবো। তবে এ জন্য কোনো ধরনের অর্থ বা বেতন দেয়া হবে না তাদের।
এমনকি, ইউক্রেনে পশ্চিমাদের দেয়া সব অস্ত্র এখন রুশ সেনাদের দখলে বলেনও জানান তিনি। বলেন, অত্যাধুনিক এসব অস্ত্র লুহানৎস্ক এবং দোনেৎস্কে রুশপন্থী সেনাদের বহর আরও শক্তিশালী করবে বলে মনে করা হচ্ছে।
/এসএইচ



Leave a reply