Site icon Jamuna Television

গ্রাহকের ২০ কোটি টাকা নিয়ে এনজিও উধাও

স্টাফ রিপোর্টার, মাদারীপুর

গ্রাহক ও কর্মীদের সাথে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে মাদারীপুরের কালকিনিতে গ্রাহকের প্রায় ২০ কোটি টাকা নিয়ে উধাও হয়েছে ডে-নাইট পরিবেশ উন্নয়ন ফাউন্ডেশন এনজিওর মালিক মোঃ মনিরুজ্জামান। এ বীমা কোম্পানির অধিক মুনাফার ফাঁদে পড়ে সর্বশান্ত হয়ে পরেছেন প্রায় ১০ হাজার দরিদ্র গ্রাহক।

ওই কর্মকর্তা হঠাৎ করে পালিয়ে যাওয়ায় পুরো এলাকার গ্রাহকদের মাঝে চরম অস্থিরতা বিরাজ করেছে। এ প্রতারণার প্রতিবাদে আজ বৃহস্পতিবার স্থানীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ডে-নাইট পরিবেশ উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের পলাতক কর্মীরা। তবে এ বিষয় ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন উপজেলা প্রশাসন।

কর্মীদের অভিযোগ ও এলাকা সূত্রে জানা গেছে, জেলার কালকিনি উপজেলার এনায়েতনগর এলাকার দরিচর গ্রামের মনিরুজ্জামান ওই এলাকায় গত ২০০৭ইং সালে ডে-নাইট পরিবেশ উন্নয়ন ফাউন্ডেশন নামে একটি এনজিও অফিস গড়ে তোলেন। এবং অর্ধশত কর্মী নিয়োগ দেন।

এনজিওটির উপজেলার প্রায় ১০টি জনবহুল হাট বাজারে ব্রাঞ্চ অফিস রয়েছে। গ্রাহকদের দৃষ্টি আকর্ষণ ও আস্থা অর্জনের জন্য তিনি এনায়েতনগর গ্রামে নির্মাণ করেন একটি বিলাস বহুল বাড়িও। এ বাড়িতে বসেই চালানো হত এনজিওর সকল কার্যক্রম। উপজেলার বিভিন্ন বীমা অফিসে তিনি অধিক মুনাফা পাওয়ার প্রলোভন দিয়ে প্রায় ১০ হাজার গ্রাহকদের কাছ থেকে ২০ কোটি টাকা হাতিয়ে নেন বলে জানিয়েছেন মাঠ কর্মীরা।

গত ১০ এপ্রিল মনিরুজ্জামান স্ব পরিবারে তার বিলাস বহুল বাড়ি তালাবদ্ধ করে উধাও হন। তার এ উধাও হয়ে যাওয়ার ঘটনায় গ্রাহকদের চাঁপে চরম বিপাকে পরেছেন ওই বীমা কোম্পানির মাঠ কর্মীরা। গ্রাহকরা টাকা ফেরত পাওয়ার জন্য রীতিমত চাপ প্রয়োগ করে আসছেন মাঠ কর্মীদের। এদিকে প্রতারক মালিক মনিরুজ্জামানকে খুঁজে না পেয়ে মাঠ কর্মীরা সংবাদ সম্মেলন করেন।

বীমা মাঠ কর্মী জসিমউদিন, বেলায়েত, রিপন ও সেফালীসহ বেশ কয়েকজন অভিযোগ করে বলেন, আমরা গ্রাহকদের কাছ থেকে কোটি-কোটি টাকা উত্তোলন করে আমাদের মালিক মনিরুজ্জামানের কাছে বইর মাধ্যমে জমা দিয়েছি। কিন্তু সমস্ত টাকা নিয়ে মনিরুজ্জামান হঠাৎ আমাদের না জানিয়ে স্ব পরিবারে উধাও হয়েছে। কিন্তু আমরা পড়েছে চরম বিপাকে। গ্রাহকরা চাপ দিয়ে আমাদের অনেককে বাড়ি ছাড়া করেছে। অনেকে আমাদের বাড়ির জিনিসপত্র গবাদি পশু নিয়ে যাচ্ছে।

এ বিষয় অভিযুক্ত মালিক মনিরুজ্জামানের সাথে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

এ ব্যাপারে উপজেলা (ভারপ্রাপ্ত) নির্বাহী কর্মকর্তা প্রমথ রঞ্জন ঘটক বলেন, আমি ওই এনজিওর খোঁজখবর নিচ্ছি। আমাদের কাছে এখনো কেউ অভিযোগ নিয়ে আসেনি।

উপজেলা চেয়ারম্যান তৌফিকুজ্জামান শাহীন বলেন, বিষয়টি আমি জেনেছি। এ ব্যাপারে প্রশাসনের কঠোর ভূমিকা নেয়া উচিৎ।

Exit mobile version