প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এক কোটি মানুষ বিশেষ কার্ড পাবে। যেটা দিয়ে কম দামে নিত্য প্রয়োজনীয় কয়েকটি পণ্য কিনতে পারবেন তারা। বিশ্ববাজারে দাম বেড়ে গেলে খুব বেশি কিছু করার থাকে না। তবে রমজানে নিত্যপণ্যের বাজার যেন সহনীয় থাকে সে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
মঙ্গলবার (১৫ মার্চ) দুপুরে গণভবনে ১৪ দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। তখন তিনি বলেন, সরকারের সামনে কিছু চ্যালেঞ্জ আছে, সেগুলো মোকাবেলায় উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এছাড়া দেশে বিনিয়োগ বাড়াতে ব্যাপকভাবে ব্যবস্থা নিচ্ছে সরকার।
বৈঠকে বিএনপির সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি নেতারা অপপ্রচার চালাচ্ছে। তারা সংলাপে অংশ নেয় না। তারা ক্ষমতায় গেলে কে তাদের প্রধানমন্ত্রী হবে, কে তাদের নেতৃত্ব দেবে। একজন এতিমের টাকা খেয়ে সাজাপ্রাপ্ত। আরেকজন ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলা ও ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলাসহ সাজাপ্রাপ্ত হয়ে পলাতক। সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশ করে দিছে, বিদেশে বসে বসে সেই সুবিধা নিচ্ছে।
শেখ হাসিনা এ সময় উল্লেখ করেন, এই এক কোটি বিশেষ কার্ডের বাইরে ৩৮ লাখ মানুষকে যে টাকা দেয়া হচ্ছে, তাও চালু থাকবে। এছাড়া ৫০ লাখ মানুষকে একটি কার্ড দেয়া আছে, যেটির মাধ্যমে তারা ১০ টাকায় চাল কিনতে পারছেন।
যথেষ্ট খাদ্য মজুত আছে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আলহামদুলিল্লাহ, এখনও ১৮ লাখ মেট্রিক টন খাদ্য মজুত আছে আমাদের। কোনো অসুবিধা নাই।
এ বৈঠকে ১৪ দলের সমন্বয়ক ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য আমির হোসেন আমু, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু, জাতীয় পার্টির (জেপি) আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান নজিবুর বশর মাইজভান্ডারী, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, গণতান্ত্রী পার্টির শাহাদাত হোসেনসহ ১৪ দলের নেতৃবৃন্দ অংশ নেন।
/এমএন