Site icon Jamuna Television

‘দ্য কাশ্মির ফাইলস’র বিরুদ্ধে ইতিহাস বিকৃতির অভিযোগ, ‘সত্য উন্মোচিত হয়েছে’ বললেন মোদি

ছবি: সংগৃহীত।

ভারতীয় পরিচালক বিবেক অগ্নিগোত্রীর পরিচালিত ‘দ্য কাশ্মির ফাইলস’ ছবিটি নিয়ে এখন চলছে তুমুল আলোচনা-সমালোচনা। একাংশ এই ছবিটি নিয়ে সমালোচনা করলেও দেশটির শাসকদল বিজেপি বলছে, এই ছবির মাধ্যমে সত্য প্রকাশ পেয়েছে। বিজেপি শাসিত অনেক রাজ্য ছবিটি করমুক্ত ঘোষণা করেছে ইতোমধ্যে। এরই জেরে এবার দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নিজেই এই ছবিটি দেখার জন্য বিজেপি ও গোটা দেশবাসীকে সুপারিশ করেছেন। মোদি বলেন, এই ছবি সবার দেখা উচিত। খবর হিন্দুস্তান টাইমসের।

এ নিয়ে মোদি বলেন, আপনারা দেখছেন ‘দ্য কাশ্মির ফাইলস’ নিয়ে বহু আলোচনা চলছে। শিল্পের ভিত্তিতে পর্যালোচনার পরিবর্তে অনেকে এর সমালোচনায় নেমেছেন। তিনি আরও বলেন, যে ব্যক্তিরা সর্বদা বাক্‌স্বাধীনতার ঝান্ডা নিয়ে ঘোরেন, সেই গ্যাং গত পাঁচ-ছয়দিনে কেঁপে গিয়েছে। মোদী জানান, ১৯৭৫ সালের জরুরি অবস্থা কিংবা দেশভাগের ঘটনা নিয়ে অনেক ছবি তৈরি হয়েছে। দ্য কাশ্মির ফাইলসের মতো আরও ছবি তৈরির প্রয়োজন। যার ফলে মানুষ সত্যটা জানতে পারে।

প্রসঙ্গত, গত ১১ মার্চ ভারতে মুক্তি পেয়েছে হিন্দি ভাষায় নির্মিত ছবিটি। এতে অভিনয় করেছেন অনুপম খের, মিঠুন চক্রবর্তী, দর্শন কুমার ও পল্লবী জোশীর মতো অভিনয় শিল্পীরা। মূলত ১৯৯০ সালে কাশ্মির উপত্যকা থেকে হাজার হাজার কাশ্মিরী পণ্ডিতদের বাস্তুচ্যুত হওয়ার বাস্তব কাহিনী নিয়ে তৈরি হয়েছে ‘দ্য কাশ্মির ফাইলস’। জানা যায়, সেই সময় কাশ্মিরের মসজিদ থেকে ঘোষণা করা হয়, ‘হয় কাশ্মিরী পণ্ডিতরা ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করবেন, নয়তো তাদের কাশ্মির ছাড়তে হবে। আর তারা যদি এই শর্তে রাজি না থাকেন, তবে কাশ্মিরী পণ্ডিত পরিবারের পুরুষ সদস্যদের ঘরে ঢুকে হত্যা করা হবে’। সেই ঘোষণার পর হাজার হাজার কাশ্মিরী পণ্ডিতের পরিবার নিজের ভিটে মাটি ছেড়ে চলে যান বিভিন্ন স্থানে।

তবে এই ঘটনাপ্রবাহ নিয়ে বিতর্ক আছে বহু। এরই মধ্যে কেরালা কংগ্রেস এই ঘটনার জন্য বিজেপিকেই দায়ী করেছে। হ্যাশট্যাগ ‘কাশ্মির ফাইলস ভার্সেস ট্রুথ’ ব্যবহার করে অনেকেই ওই ঘটনা নিয়ে নতুন নতুন তথ্য টুইট করছেন। তাদের দাবি, ওই সময় সন্ত্রাসী হামলার পর পণ্ডিতদের নিরাপত্তা দেয়ার পরিবর্তে বিজেপির নিজস্ব রাজ্যপাল জগমোহন তাদের জম্মুতে স্থানান্তরিত হয়ার জন্য বলেছিলেন। এর ফলে পণ্ডিত পরিবাররা কাশ্মিরে নিজেদের নিরাপদ বোধ করেনি এবং ভয়ে উপত্যকা ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন। তবে এ দাবি মানতে নারাজ বিজেপি। তাদের দাবি, এর মাধ্যমে সত্য উন্মোচিত হয়েছে।

এসজেড/

Exit mobile version