Site icon Jamuna Television

ভ্যাট প্রত্যাহারের প্রভাব নেই ভোজ্যতেলের খুচরা বাজারে

ছবি: সংগৃহীত।

নিত্যপণ্যে সরকারের ভ্যাট প্রত্যাহারের প্রভাব পড়েছে পাইকারি বাজারে। লিটারে ১০ টাকা কমেছে সয়াবিন তেলের দর। কিন্তু খুচরা পর্যায়ে বেচাকেনা চলছে পুরোনো দামেই। ব্যবসায়ীরা বলছেন, আগের পণ্য বিক্রি শেষ না হলে, বাজারে প্রভাব পড়বে না। দাম কমেনি চিনিরও। নতুন দুশ্চিন্তা আটা ও ময়দাকে নিয়ে।

এদিকে, রাজধানীর কারওয়ানবাজার হঠাৎ ভোজ্যতেলে সয়লাব। ২ থেকে ৫ লিটারের বোতল চোখে পড়ছে প্রায় সব দোকানেই। এসব বাধতে হচ্ছে না শেকল দিয়েও। তার মানে, প্রশাসনের অভিযান ও ভ্যাট প্রত্যাহারের খবরে কিছুটা টনক নড়েছে উৎপাদক ও ব্যবসায়ীদের।

কিন্তু এখনও, ব্র্যান্ডভেদে ৭৮০ থেকে ৭৯০ টাকা ধরে বিক্রি হচ্ছে ৫ লিটারের সয়াবিন তেল। আগের দর পাম অয়েলেও। নিম্নবিত্তরা খোলা তেল কিনছেন কমবেশি ১৬৫ টাকা লিটার দরে। ৮০ টাকা গুনতে হবে এক কেজি সাদা চিনির জন্য। প্যাকেটজাত আখের চিনির দর ১০০ টাকা। তবে কেজিতে ৫-১০ টাকা কমেছে বিদেশি ছোলার দাম। তাই ক্রেতার খুব একটা লাভ হচ্ছে না। সংসারের দায়িত্ব টানতে বাজারের ফর্দ ছোট হচ্ছে নিম্ন ও মধ্যবিত্তের। রোজার মাসের বাজার করতে এসেও স্বস্তি নেই অনেকের।

চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে অবশ্য স্বস্তির আভাস মিলছে। এখানে প্রতি মণ সয়াবিন তেলের দর কমেছে ৪০০ টাকা। পাইকারিতে ১৩০ টাকায় নেমে এসেছে পাম অয়েলের লিটার। এরই মধ্যে আমদানি হয়েছে রোজায় দরকারি ছোলা ও চিনির বড় অংশ। আরো চালান খালাস হবার অপেক্ষায়। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের খবরে উত্তপ্ত গমের বাজারে। কেজিতে ৫ টাকা বেড়েছে আটা ও ময়দার দর।

এসজেড/

Exit mobile version