Site icon Jamuna Television

প্রশ্নের মুখে রাশিয়ার সামরিক শক্তি

ছবি: সংগৃহীত

ইউক্রেনে আগ্রাসনের তিন সপ্তাহ পরও তেমন সাফল্য না পাওয়ায় ফের প্রশ্নের মুখে রাশিয়ার সামরিক শক্তি। অনেকের কৌতুহল, তাহলে কোথায় গেলো পুতিন বাহিনীর সেই বিশাল বহর? জেলেনস্কি প্রশাসনের দাবি, প্রতিরোধের মুখে রাজধানীতে ঢুকতে না পেরে বেসামরিক মানুষের ওপর নির্বিচারে বিমান হামলা চালাচ্ছে পুতিন বাহিনী।

রাজধানী কিয়েভের আশপাশে শক্ত অবস্থান নিলেও এখনও শহরে ঢুকতে পারেনি রুশ বাহিনী। তবে প্রতিনিয়ত ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় গুড়িয়ে দেয়া হচ্ছে রাজধানীর একের পর এক আবাসিক ভবন।

জেলেনস্কি প্রশাসনের দাবি, কিয়েভে এখনও উল্লেখযোগ্য কোনো অগ্রগতি নেই পুতিন বাহিনীর। উল্টো প্রতিরোধের মুখে এখন পর্যন্ত ১৪ হাজারের বেশি রুশ সেনার মৃত্যু হয়েছে। তাই হাতিয়ার হিসেবে রুশ বাহিনী বেসামরিক নাগরিকদের টার্গেট করে নির্বিচারে গোলাবর্ষণ করছে বলে অভিযোগ ইউক্রেনের।

এ প্রসঙ্গে কিয়েভের মেয়র ভিটালি ক্লিটসকো বলেন, কিয়েভের আশপাশের সব শহরেই গোলাবর্ষণ করছে রুশ বাহিনী। তারা কোন ভাবেই রাজধানীতে ঢুকতে না পেরে আবাসিক ভবন আর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালাচ্ছে। শিশুসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। হাসপাতালে নেয়া হয়েছে অনেককে।

শুধু কিয়েভেই নয়, খেরসন, মারিওপোলসহ যেসব শহর দখলে নেয়ার দাবি করেছিলো রুশ সেনারা, সেখানেও ইউক্রেনীয় বাহিনীর শক্ত প্রতিরোধের মুখে এখনও চলছে তুমুল লড়াই। পৃথিবীর অন্যতম সেরা সামরিক শক্তির দেশ কেনো এতো দিনেও কাঙ্খিত সাফল্য পাচ্ছে না তা নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন। অনেকের কৌতুহল, তাহলে কোথায় গেলো ৬৫ কিলোমিটারের দীর্ঘ সেই বহর? কেনই বা অগ্রসর হচ্ছে না পুতিন সরকার।

এ ব্যাপারে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইগোর কোসাশেনকোভ বলেন, দোনেৎস্কের বাসিন্দারা রুশ সেনাদের সহায়তা করছে মারিওপোলে। মূলত তারা নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষায় যুদ্ধে নেমেছে। আমরা কেবল তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাজ করছি। গোটে দেশ দখল উদ্দেশ্য নয় রাশিয়ার।

যদিও এসব আলোচনা-সমালোচনায় একচুলও বিচলিত নন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তার দাবি, এখন পর্যন্ত পরিকল্পনা মাফিকই চলছে অভিযান।

/এসএইচ

Exit mobile version