Site icon Jamuna Television

ফেসবুক লাইভে যুবকের আত্মহত্যা; স্ত্রী, শ্বশুর, শ্যালিকা ও ভায়রা গ্রেফতার

ইমরোজ হোসেন রনির (২৮)


স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, রংপুর:

রংপুরের পীরগাছায় ফেসবুক লাইভে এসে ইমরোজ হোসেন রনির (২৮) আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলায় স্ত্রী, শ্বশুর, শ্যালিকা ও ভায়রাকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব-১৩।

রনির আত্মহত্যার ঘটনার একমাস ৬ দিন পর শুক্রবার (১৮ মার্চ) রাতে ঢাকার সাভার থেকে তাদের গ্রেফতার করে র‍্যাব। এর আগে, এ ঘটনায় আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলা হলে অভিযুক্তরা আত্মগোপনে চলে যায়। এক মাস ৬ দিনের মাথায় তাদের র‍্যাবের সহযোগিতায় ঢাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।

স্থানীয় পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, চার বছর আগে প্রেমের বিয়ে হয় শামীমা ইয়াসমিন সাথীর। তাদের দুই বছরের একটি পুত্র সন্তান আছে। কিছুদিন আগে সাথী রনির কাছে দেনমোহরের ৫ লাখ টাকা এবং তার বাবা-মায়ের ভরণপোষণ দাবি করে বসেন। এরপর থেকেই রনি চিন্তিত ও বিষন্ন ছিলেন বলে পরিবার সূত্রে জানা গেছে।

এরপর গত ৯ ফেব্রুয়ারি রনির অগোচরে পার্শ্ববর্তী রতনপুর গ্রামে তার চাচা মুকুল মিয়ার বাড়িতে চলে যান সাথী।

১২ ফেব্রুয়ারি সকালে রনি চাচা শশুরের বাড়িতে যান সাথীকে আনতে। কিন্তু সেখানেও সাথী তার দাবিতে অনড় থাকেন। রাগ ক্ষোভ অভিমানে বিষন্ন হয়ে যায় রনি চাচা শ্বশুরের বাড়ি থেকে বেরিয়ে অজ্ঞাত স্থান (প্রাথমিকভাবে) থেকে ফেসবুক লাইভ করতে শুরু করেন রনি।

ফেসবুক লাইভে রনি বলেন, ‘আমার স্ত্রী আমাকে না বলে তিন দিন আগে তার চাচা মুকুল মিয়ার বাড়িতে চলে যায়। আমি আনতে গেলে তারা আমার কাছে দেনমোহরের ৫ লাখ টাকা এবং তার বাবা-মায়ের ভরণপোষণ দেয়ারও দাবি করে। আমি এখন ফেসবুক লাইভে এসে বিষপানে আত্মহত্যা করবো। আমার মৃত্যুর জন্য আমার স্ত্রী, শ্বশুর, চাচা শ্বশুর ও ভায়রা এমদাদুল হক দায়ী।’ বলে একটি সাদা বোতলের মুখ খুলে বিষপান করেন রনি। এসময় তার সাথে এক কিশোরকে দেখা যায়। কিন্তু তার পরিচয় পাওয়া যায়নি।

খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন মুমূর্ষ অবস্থায় রনিকে প্রথমে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানেই ১৪ ফেব্রুয়ারী বিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান রনি।

এ বিষয়ে পীরগাছা থানার ওসি সরেষ চন্দ্র বলেন, আত্মহত্যায় প্ররোচনার জন্য তিনি শশুর, চাচা শশুর,,স্ত্রী এবং ভায়রাকে দায়ী করেন ওই লাইভে এবং বিষপান করেন। মুমূর্ষ অবস্থায় হাসপাতালে তিনি মারা যান। পরে তার পিতা বাদি হয়ে আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলা দায়ের করেন।


/এসএইচ

Exit mobile version