Site icon Jamuna Television

রুশ হামলা ঠেকাতে ইউক্রেনের ওডিসার প্রবেশ পথে গড়ে তোলা হচ্ছে দুর্গ

ছবি: সংগৃহীত।

কৃষ্ণ সাগরের কোল ঘেষা ইউক্রেনের বন্দর নগরী ওডিসা। প্রায় হাজার বছরের পুরনো এই শহরকে ঘিরে রয়েছে নানা ইতিহাস, ঐতিহ্য। এ বন্দর নগরীতে যেন ফিরে এসেছে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আবহ। রুশ বাহিনীর আগ্রাসন ঠেকাতে প্রতিটি প্রবেশ পথে গড়ে তোলা হচ্ছে দুর্গ। বালুর বস্তা ফেলে সড়কগুলোতে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করা হচ্ছে। ঠিক ৮০ বছর আগে শহরটির মানুষ যেভাবে জার্মানির হিটলার বাহিনীকে প্রতিরোধের মুখে ফেলেছিল, এ যেন তারই পুনরাবৃত্তি। খবর স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম এল পেইস এর।

১৯৪১ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের এই বন্দরকে অন্যতম টার্গেট করে জার্মান বাহিনী। সেই সময় বালুর বস্তার দূর্গ বানিয়ে হিটলার বাহিনীকে টানা ৭৩ দিন অবরুদ্ধ করে রাখে স্থানীয়রা। এবার রুশ সেনাদের ঠেকাতে ৮০ বছর পর আবারও সেই কৌশল ব্যবহার করা হচ্ছে। এ যেন ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি।

সেখানকার মানুষেরা জানিয়েছেন, তারা এখনও নিজেদের বেশ নিরাপদ মনে করছে। কারণ, ওডিসার খুব সাহসী ইতিহাস রয়েছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় সেখানে জার্মান বাহিনীকে ঠেকাতে বেসামরিকরা কাউন্টারফোর্স গড়ে তুলেছিল। এই শহরের মানুষ বেশ সাহসী। তাতে একটুও ভয় পাচ্ছেন না তারা।

শহরটির প্রবেশ পথে গড়ে তোলা হচ্ছে দুর্গ । ছবি: ওয়াশিংটন পোস্ট।

তাদের দাবি, শহরটি রাশিয়ার লক্ষ্য থাকলে হামলার প্রথম দিনই রকেট, মিসাইল বা গোলাবর্ষণ করতো। রুশ সেনাদের প্রতিরোধের জন্য তারা এখন বেশ প্রস্তুত।

ওডিসার মেয়র গেন্নাদি ট্রুখানভ জানান, শহরের মানুষ দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের সেই সাহসী ঐতিহ্য এখনও ধারণ করে। তাই ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিয়ে সব ধরণের প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তুলেছে তারা।

তিনি বলেন, এখনও বিশ্বাস করি এবং দৃঢ়ভাবে মনে করি এই শহরে বড় ধরণের অভিযান চালাবে না রাশিয়া। কারণ, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়কার ওডিসার ইতিহাস সবার জানা। গোটা বিশ্ববাসীর কাছে এই শহরটি স্বাধীনতার প্রতীক হিসেবে পরিচিত। এখানকার সব বাসিন্দাই শান্তিপ্রিয়। তবুও আমরা যেভাবে প্রতিরোধ গড়ে তুলছি, তাতে স্থল অভিযান চালানো মোটেই সহজ হবে না পুতিন বাহিনীর জন্য।

ইউক্রেনের অভিযোগ, হিটলার বাহিনী কৃষ্ণ সাগর থেকে যেভাবে হামলা চালিয়েছিল ঠিক একই পথে হাটছে রাশিয়াও। তবে ইউক্রেনের তৃতীয় বৃহত্তম শহরটির দখল নিতে রুশ বাহিনীকে শক্ত প্রতিরোধের মুখে পড়তে হবে বলে দাবি জেলেনস্কি প্রশাসনের।

/এমএন

Exit mobile version