চুয়াডাঙ্গার কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের সামনের একটি সরকারি ভবনের মালিকানা নিয়ে মুখোমুখি অবস্থানে দাঁড়িয়েছে ইউনিয়ন পরিষদ ও কৃষি বিভাগ। দু’পক্ষই নিজেদের দাবি করছে ওই সম্পত্তিটি। তবে রাতের অন্ধকারে ভবনটি মিশে গেছে মাটিতে। ইতোমধ্যে ভবন ভেঙে ফেলার অভিযোগ তুলে থানায় জিডি করেছে কৃষি বিভাগ। আর স্থানীয় প্রশাসন বলছে, বিষয়গুলো তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
গত মঙ্গলবার (১৫ মার্চ) মাটির সাথে মিশে যায় চুয়াডাঙ্গার শাহাপুর ও ভুলটিয়া ব্লকের বিভাগীয় সীড স্টোর, উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তার কার্যালয় ও কোয়ার্টারের সরকারি এ ভবনটি। রাতের আধাঁরে ভবন ভেঙে পড়া নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে মত দুই দফতর প্রধানের।
এ নিয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর কৃষি কর্মকর্তা তালহা জুবাইর মাশরুর বলেন, রাতের কোনো একটা সময়ে কে বা কারা ভবনটির প্রায় ৯০ শতাংশ ভেঙে ফেলে। সকালে আমাদের কর্মকর্তারা সেখানে গিয়ে দেখেন ভবনটি ভাঙা। তবে উল্টো কথা বলছেন কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলী হাসানুজ্জামান মানিক। তার দাবি, ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় দীর্ঘদিন ধরে সেটি ভেঙে ফেলতে বা সরিয়ে নিতে কৃষি কর্মকর্তাদের কয়েক দফা বলা হয়েছে। তবে এতে কোনো কাজ হয়নি বলে জানান তিনি।
সম্পত্তিটি ১৯৬০ সালে কৃষি বিভাগকে দান করে তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। তখন থেকেই কৃষি বিভাগের কাজে ব্যবহৃত হয় ভবনটি। এখন ওই সম্পত্তি নিজেদের দাবি করে বিভিন্ন যুক্তি তুলে ধরছেন ইউনিয়ন পরিষদ ও কৃষি বিভাগ। সম্পত্তিটির বৈধ মালিকানা নিয়ে আইনি লড়াইয়ে যেতেও প্রস্তুত দু’পক্ষ।
ইউপি চেয়ারম্যান বলছেন, সাবেক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ভবনটি দান করেছিলেন। ইউপির কোনো সম্পত্তি ভারপ্রাপ্ত কোনো চেয়ারম্যানের দান করার এখতিয়ার নেই বলে জানান তিনি। এ নিয়ে আইনি কার্যক্রম এরই মধ্যে শুরু হয়েছে বলে জানান তিনি। অন্যদিকে, কৃষি কর্মকর্তা তালহা জুবাইর মাশরুর বলছেন, যথাযথ কাগজপত্র ও রেকর্ড আছে তাদের কাছে। নিয়মিত খাজনাও দেয়া হয়। প্রয়োজনে আইনি পথে হাঁটারও কথা বলেন তিনি।
ভবনটি ভেঙে পড়ায় অর্ধকোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে দাবি করে, সদর থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছে কৃষি বিভাগ। স্থানীয় প্রশাসন বলছে, সম্পত্তিটি নিয়ে গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। দুই দফতরের দ্বন্দ্বে সরকারি সম্পত্তি যেন বেহাত না হয় সেই দাবি স্থানীয়দের।
এসজেড/

