৭৬ বল হাতে রেখে ৭ উইকেটে টাইগারদের হারালো প্রোটিয়ারা

|

ছবি: সংগৃহীত

তিন ডিপার্টমেন্টেই বাংলাদেশকে ছাপিয়ে গিয়ে ৭৬ বল হাতে রেখেই ৭ উইকেটের বড় জয়ে সিরিজে সমতা এনেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। কুইন্টন ডি ককের ঝড়ো ইনিংস ও কাইল ভেরাইন্নার অর্ধশতকে বাংলাদেশের দেয়া ১৯৫ রানের টার্গেট মাত্র ৩৭.২ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়েই টপকে যায় প্রোটিয়ারা। সিরিজে এখন ১-১ এ সমতা বিরাজ করছে।

মেহেদি মিরাজের বলে ইয়ানেমান মালান সাজঘরে ফিরে যাওয়ার পর বোলিং আক্রমণে এসেই মাঠে ঝড় তোলা কুইন্টন ডি কককে আউট করেছেন সাকিব আল হাসান। দুই ওপেনারের উইকেট তুলে নিয়ে ম্যাচে ফিরেছে বাংলাদেশ। প্রতিবেদনটি লেখা পর্যন্ত ১৯৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করা দক্ষিণ আফ্রিকার সংগ্রহ ছিল ২০ ওভার শেষে ২ উইকেট হারিয়ে ১১৬ রান।

সেঞ্চুরিয়নে সিরিজের প্রথম ম্যাচে নতুন বলের সাফল্যের পুনরাবৃত্তি আজ ঘটাতে পারেননি তাসকিন ও শরিফুল। দলকে সাফল্য এনে দিতে পারেননি কাটার মাস্টার মোস্তাফিজুর রহমানও। সেই সুযোগ অবশ্য ডি কক দেননি আজ। শুরু থেকেই টাইগার বোলারদের ওপর চড়াও হয়ে ২৬ বলে তুলে নিয়েছেন অর্ধশতক। মেহেদি মিরাজের বলে অপর ওপেনার ইয়ানেমান মালান বোল্ড হন ব্যক্তিগত ২৬ রানে; আর এতে ভাঙে প্রোটিয়াদের ৮৬ রানের জুটি। ১২.৩ ওভারে এই রানে বাংলাদেশের জন্য ম্যাচে ফেরা অনেকটাই কঠিন করে দেয় দুই ওপেনার। এরপর সাকিব আল হাসানের বল কাউ কর্নার দিয়ে উড়িয়ে মারতে গিয়ে আফিফ হোসেনের দারুণ ক্যাচে কুইন্টন ডি কক ফিরে গেলে কিছুটা হলেও আশা জাগায় টাইগাররা। ৯ চার ও ২ ছয়ের সাহায্যে ৪১ বলে ৬২ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে আউট হয়েছেন ডি কক।

তবে সেই আশাকে আর বাড়তে দেননি প্রোটিয়া অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা ও কাইল ভেরাইন্না। এই দুজনের ৮২ রানের জুটিতে পরাজয় নিশ্চিত হয়ে যায় বাংলাদেশের। আফিফ বোলিংয়ে এসে বাভুমাকে আউট করলেও তাতে ব্যবধান কমা ভিন্ন কিছুই ঘটেনি। দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দিয়ে কাইল ভেরাইন্না অপরাজিত থাকেন ৫৮ রানে। বাংলাদেশের পক্ষে সাকিব, আফিফ ও মিরাজ নেন ১টি করে উইকেট।

এর আগে, কাগিসো রাবাদার দুর্দান্ত বোলিংয়ে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়া বাংলাদেশ আফিফ হোসেনের বীরত্বে ৫০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৯৪ রান সংগ্রহ করে। আফিফ করেন সর্বোচ্চ ৭২ রান। রাবাদা নেন ৩৯ রানে ৫ উইকেট। আগামী ২৩ মার্চ সেঞ্চুরিয়নে অনুষ্ঠিত হবে সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচ।

এম ই/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply