Site icon Jamuna Television

৫ উইকেট না পাওয়া পর্যন্ত কাচ্চি বিরিয়ানি না খাওয়ার চ্যালেঞ্জ নিয়েছিলেন তাসকিন

৫ বছর আগে এই দক্ষিণ আফ্রিকা সফর থেকে ফিরে ক্যারিয়ার হুমকির মুখে পড়ে স্পিডস্টার তাসকিন আহমেদের। তবে ভেঙে না পড়ে নিজেকে গড়েছেন তিলে তিলে। তাইতো হারিয়ে যাওয়া তাসকিন সেই আফ্রিকাতেই কিনা সিরিজা সেরা। তবে তার ফিরে আসা সহজ ছিল না।

শারীরিক আর মানসিক; দুই বিভাগেই আলাদা করে কাজ করেছেন তাসকিন। ফিজিক্যাল ফিটনেসের জন্য ট্রেইনার দেবাশিষ আর মাইন্ড ট্রেইনার সাবিত রায়হানের কাছ থেকে পেয়েছেন নিজেকে নিয়ন্ত্রণের মন্ত্র। ছেড়ে দিয়েছিলেন নিজের অত্যন্ত প্রিয় কাচ্চি বিরিয়ানিও।

সেই গল্প শোনালেন তাসকিনের মাইন্ড ট্রেইনার সাবিত রায়হান। তিনি বলেন, আমরা দুজনই কাচ্চি বিরিয়ানি ছেড়ে দিয়েছিলাম। শপথ করেছিলাম যেদিন পাঁচ উইকেট পাওয়া হবে সেদিন কাচ্চি বিরিয়ানি খাবো। অর্থাৎ, ইমোশনাল দিক থেকে নিজেকে পোক্ত করেছেন তাসকিন।

দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে ধীরে ধীরে নিজেকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যাচ্ছেন তাসকিন। নেতৃত্ব দিচ্ছেন বাংলাদেশের পেস আক্রমণকে। তবে পারফরমেন্সের পেছনের পরিশ্রমের গল্পটাও বেশ লম্বা। যা হয়ত চোখে পড়ে না কারো।

সাবিত রায়হান বলেন, মানুষের মন ও শরীর একসাথে কাজ করে। কখনো শরীর ক্লান্ত হয়, কখনো মন। মনকে একাগ্র করার জন্য তাসকিনকে নিয়ে কিছু অ্যাঙ্করিং ও সুইচের কাজ করেছি। প্রত্যেক বলের আগে তাসকিন এসবের প্রতিফলন ঘটায়। এই সিরিজে টেস্ট ম্যাচসহ তাসকিন ১৫ উইকেটের লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছিল। এরইমধ্যে সে ৮টি নিতে সক্ষম হয়েছে।

ক্রিকেট যে শুধু শারীরিক নয়, এর বড় একটা অংশ জুড়েই মানসিক শক্তি; তাসকিনের সফলতার গল্প অন্তত তার বড় উদাহারণ।

জেডআই/

Exit mobile version