Site icon Jamuna Television

স্বাধীনতার ৫১ বছর: অর্থনীতির আকার বেড়েছে ৫২ গুণের বেশি

স্বাধীনতার অর্ধশতাব্দী পর উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে ‘৭১ এ যুদ্ধবিধস্ত বাংলাদেশ। বিস্ময়করভাবে উত্থান হয়েছে দেশের অর্থনীতির। স্বাধীনতার পর থেকেই থেকে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করে সদ্য সাধীন বাংলাদেশ। ৫১ বছরে অর্থনীতির আকার বেড়েছে ৫২ গুণের বেশি। ৯৩ ডলার থেকে মাথাপিছু আয় এখন প্রায় ২৬শ’ ডলার। রফতানি ও প্রবাসী আয়ও চোখে পড়ার মতো।

আর্থিক সূচকের পাশাপাশি সাফল্য আছে প্রতিটি সামাজিক সূচকেও। তবে যে সমতাভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু মুক্তিযুদ্ধের ডাক দিয়েছিলেন, তা আজও অর্জিত হয়নি বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। তাদের মতে, দেশের মধ্যেই বিরাজ করছে দুই ধরনের অর্থনীতি। সম্পদের সুষম বন্টন নিশ্চিত না হলে মুক্তিযুদ্ধের লক্ষ্য অর্জিত হবে না।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান বলেন, আমাদের অর্থনীতির আকার পাকিস্তানের চেয়ে ৪৫ শতাংশ বেশি। কৃষি, রফতানি ও প্রবাসী আয় আমাদের এগিয়ে নিচ্ছে। মোবাইলে ব্যাংকিয়ের মাধ্যমে প্রতিদিন ২ হাজার ৬০০ কোটি টাকা শহর থেকে গ্রামে যাচ্ছে। সবমিলে বাংলাদেশের অর্থনীতির একটা শক্তিশালী ভিত্তি তৈরি হয়েছে।

সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, কিছু মানুষ বলেছিল, এ দেশে যদি উন্নয়ন সম্ভব হয় তাহলে পৃথিবীর যেকোনো দেশে উন্নয়ন সম্ভব হবে, এ আশঙ্কা আমরা ভুল প্রমাণিত করেছি। বাধ্যতামূলক পরনির্ভরশীল দেশ থেকে বাণিজ্যনির্ভর দেশে পরিণত হয়েছে।

গেল ৫ দশকে কৃষির উৎপাদন বেড়েছে কয়েকগুণ। খাদ্যের পাশাপাশি মাছ-মাংসেও স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছে দেশ। সাফল্যের পাশাপাশি আক্ষেপও আছে। স্বাধীনতার অর্ধশতাব্দী পরও গড়ে তোলা যায়নি বঙ্গবন্ধুর সাম্যের বাংলাদেশ।

আতিউর রহমান জানিয়েছেন, অর্থনৈতিক বৈষম্য আমরা সেভাবে কমাতে পারিনি। ধনী ও গরিবের আয়ে বেশ তফাৎ আছে। দেশে বেশ কিছু সুপার রিচ তৈরি হয়ে গেছে।

অন্যদিকে মোস্তাফিজুর রহমান জানান, বাংলাদেশের ভেতরে এখন দুই ধরনের অর্থনীতি, গড় আয় বাড়ছে কিন্তু এর বণ্টনে পার্থক্য রয়ে গেছে।

অর্থনীতিবিদরা মনে করেন, মুক্তিযুদ্ধের মূল লক্ষ্য পূরণে সম্পদের সুষম বণ্টন, কর্মীর দক্ষতার উন্নয়ন এবং উৎপাদনশীলতা বাড়ানোর দিকে মনোযোগ দিতে হবে।

/এমএন

Exit mobile version