Site icon Jamuna Television

এতিম বলায় ব্লেড দিয়ে বন্ধুর গলা কেটে হত্যা

আটককৃত বিপ্লব

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, টাঙ্গাইল:

লুডু খেলার সময় বন্ধুকে এতিম বলায় জীবন দিতে হয়েছে স্কুল ছাত্র রাহাতকে (১৪)।
 
শুক্রবার (২৫ মার্চ) রাতে এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে নিহত রাহাতের বন্ধু বিপ্লব র‍্যাবের হাতে আটক হলে হত্যাকাণ্ডের রহস্য উৎঘাটিত হয়। আটককৃত বিপ্লব বানিয়ারা গ্রামের নুবু মিয়ার ছেলে।

টাঙ্গাইল র‍্যাব-১২ এর কোম্পানি কমান্ডার মো. এরশাদুর রহমান জানান, রাহাত ও বিপ্লব পরস্পরের বন্ধু। তাদের বাড়িও পাশাপাশি। মঙ্গলবার (২২ মার্চ) রাতে বিপ্লব ও রাহাত কালিহাতী উপজেলার কোকডহরা ইউনিয়নের কাগুজিপাড়া বাজারে বসে লুডু খেলে। খেলার সময় বিপ্লবকে কয়েকবার রাহাতকে এতিম বলে সন্মোধন করে। এতে রাহাতের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে হত্যা করার সিদ্ধান্ত নেয় বিপ্লব। 

পরে বিপ্লব বাজারের একটি দোকান থেকে ব্লেড ও সিগারেট কেনে। এরপর বিপ্লব সিগারেট খাওয়ার কথা বলে রাহাতকে কাগুজিপাড়া এলাকার একটি পুকুর পাড়ে নিয়ে যায়। সিগারেট খাওয়া শেষ হওয়ার সাথে সাথেই বিপ্লব ব্লেড দিয়ে রাহাতের গলায় পোচ দেয়। এসময় রাহাত চিৎকার দিলে বিপ্লব মুখ চেপে ধরে আরো কয়েকবার পোচ দেয়। পরে মৃত্যু নিশ্চিত করতে কাঁদার মধ্যে রাহাতের মুখ চেপে ধরে। রাহাতের মৃত্যু হওয়ার পর লাশ পুকুরে ফেলে দিয়ে তার (রাহাতের) মোবাইল নিয়ে বাড়িতে চলে যায় বিপ্লব। বাড়িতে গিয়ে বিপ্লব গোসল করে এবং তার রক্তমাখা জামাকাপড় ধুয়ে ফেলে।

শুক্রবার (২৫ মার্চ) তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে কালিহাতি থেকে বিপ্লবকে আটক করার পর র‍্যাবের কাছে সে এ হত্যার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে হত্যার বর্ণনা দেয়। পরে বিপ্লবের ঘর থেকে তার রক্তাক্ত জামাকাপড় ও নিহত রাহাতের মোবাইল ফোনটি উদ্ধার করা হয়।
 
এর আগে বুধবার (২৩ মার্চ) সকালে উপজেলার কোকডহরা ইউনিয়নের কাগুজিপাড়া এলাকা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। রাহাত বানিয়ারা গ্রামের শাহাদত হোসেনের ছেলে। সে বল্লা করোনেশন উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণীর ছাত্র। হত্যার দিন রাতে নিহতের বাবা ঘাতক অজ্ঞাতনামা উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

/এসএইচ

Exit mobile version