Site icon Jamuna Television

‘মনস্টার মিসাইল’ উৎক্ষেপণ করে এবার নিষেধাজ্ঞার মুখে উত্তর কোরিয়া

ছবি: সংগৃহীত।

সম্প্রতি উত্তর কোরিয়ার ছোড়া ‘হোয়াসং-১৭’ নামের আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক মিসাইলটি ৬ হাজার কিলোমিটার উচ্চতা পর্যন্ত উঠেছে। পরে, এক হাজার কিলোমিটার দূরে জাপানের দক্ষিণাঞ্চলীয় সমুদ্রে পড়ে। ‘মনস্টার মিসাইল’ খ্যাত এই ক্ষেপণাস্ত্রটিকে দেশটির সমরভাণ্ডারের সবচেয়ে ভয়াবহ অস্ত্র হিসেবে আখ্যা দেয়া হচ্ছে। তাইতো তড়িঘড়ি জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে বসে বিশেষ অধিবেশন। সেখানে, ৭ নম্বর রেজ্যুলেশন অনুযায়ী নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপের পাশাপাশি অন্যান্য সদস্য রাষ্ট্রসমূহকেও কঠোর হওয়ার তাগিদ দেয় যুক্তরাষ্ট্র।

জাতিসংঘে নিযুক্ত মার্কিন প্রতিনিধি লিন্ডা থমাস গ্রিনফিল্ড বলেন, কূটনৈতিক অগ্রগতি ছাড়া নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের পদক্ষেপ নিলে সেটি হবে আগুনে ঘি ঢালা। তাতে, ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষায় উত্তর কোরিয়া আরও সুযোগ পাবে। সুতরাং, নিষেধাজ্ঞা তো প্রত্যাহার করা যাবেই না। বরং, চাপ বৃদ্ধির পাশাপাশি বাকিগুলোও কার্যকর করতে হবে।

কিম জং উন প্রশাসনের বেপোরোয়া আচরণের খতিয়ান তুলে ধরে জাতিসংঘও। সংস্থাটির আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল রোজমেরি ডি কার্লো বলেন, আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক মিসাইল পরীক্ষার মাধ্যমে ২০১৮ সালে গৃহীত নিজস্ব স্থগিতাদেশ এবং জাতিসংঘের নীতিমালা ভঙ্গ করলো উত্তর কোরিয়া। ফলে, আঞ্চলিক নিরাপত্তা পড়লো হুমকির মুখে। শুধু তাই নয়, গোটা বিশ্বে তৈরী হয়েছে অস্থিরতা।

চলতি বছরই, ১২ দফা ব্যালিস্টিক মিসাইল ছুড়েছে দেশটি। এছাড়া, দেশটির বিরুদ্ধে পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষার প্রমাণও পেয়েছে আইএইএ।

বিশ্লেষকরা অবশ্য বলছেন, নিরাপত্তা হুমকির তুলনায় দেশ পরিচালনায় কিম জং উনের সক্ষমতা তুলে ধরাই ছিলো নতুন কর্মসূচির উদ্দেশ্য।

কোরিয়া ইন্সস্টিটিউট ফর ন্যাশনাল ইউনিফিকেশনের পরিচালক হং মিন বলেন, হোয়াসং- ফিফটিন যখন ছোঁড়া হয়েছিলো, সেসময় যুক্তরাষ্ট্রের জন্য মিসাইলটি হুমকি- তার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়। এবার কিম জং উন দেশ পরিচালনায় কতোটা দক্ষ; সেটাই ছিলো মূখ্য। উত্তর কোরিয়ার নতুন প্রজন্ম দেশের নেতৃত্বের ওপর নির্ভরশীল নন। তাদের উৎসাহিত করতে এবং নজর কাড়তেই এ ভিডিও। কিন্তু, বুমেরাং হলো।

চলতি বছর জানুয়ারি মাসেই, ৭ বার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালায় উত্তর কোরিয়া। একমাসে সর্বোচ্চ সংখ্যক মিসাইল ছোঁড়ায় দেশটির এটি অন্যতম রেকর্ড। এরজন্য, যুক্তরাষ্ট্রের শত্রুতাপূর্ণ আচরণকে দায়ী করেছে পিয়ংইয়ং।

জেডআই/

Exit mobile version