Site icon Jamuna Television

‘আমার এক শালা শেখ হাসিনার পার্সোনাল গোয়েন্দা, আরেকটা সাংবাদিক’

কুড়িগ্রামের রাজিবপুর উপজেলার মোহনগঞ্জে ব্রহ্মপুত্র নদে তীর সংরক্ষণ কাজ করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। প্রকল্পের অধীনে ৫ কোটি ৮৫ লাখ টাকা ব্যয়ে ২শ মিটার জায়গায় জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে। অথচ সরকারি এই কাজের খুব কাছেই অন্তত ১০টি ড্রেজার বসিয়ে অবৈধভাবে বালু তুলছে একটি চক্র। এতে হুমকির মুখে তীর সংরক্ষণ প্রকল্প। এ নিয়ে অভিযুক্ত বালু উত্তোলন চক্রের হোতা ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা সুরুজ্জামাল মিয়া জানান, আইন নিয়ে তিনি চিন্তা করেন না, কেননা তার এক শালা শেখ হাসিনার পার্সোনাল গোয়েন্দা, আরেকটা সাংবাদিক।

প্রশাসনের নাকের ডগায় প্রভাবশালীরা এমন কাণ্ড করে চললেও নির্বিকার পানি উন্নয়ন বোর্ড। সরকারি প্রকল্প চলাকালেই ভাঙছে তীরবর্তী এলাকার ঘরবাড়ি, এতে ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা।

স্থানীয়রা জানায়, ২০২১ সালে ধনার চর গ্রামসহ কয়েকটি এলাকায় এভাবে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন হচ্ছিল। সেসময় রৌমারী উপজেলা আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক সুরুজ্জামাল মিয়া এবং তার দুই ছেলে আতিকুর রহমান ও আজিজুর রহমানসহ ৪২ জন ড্রেজার মালিকের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। যে তালিকায় আছে জনপ্রতিনিধি থেকে ব্যবসায়ী, সবাই। পরে ড্রেজার চালু না করার শর্তে জামিন পায় অভিযুক্তরা। তার আগে ২০২০ সালে অবৈধ বালু তোলা বন্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হলে তাতে হামলা চালায় আতিকুর ও আজিজুর। এই চক্রের ২/১ জন বিরত হলেও বাকিরা বালু তুলেই যাচ্ছে।

এখনও বালু তোলার কথা স্বীকার করে চক্রের হোতা সুরুজ্জামাল মিয়া বললেন, আইনের থোড়াই কেয়ার করেন তিনি। যারা এসব নিয়ে ‘নাচানাচি করে, তাদের খাওয়া নাই’। সুরুজ্জামাল বলেন, আমার শালা একটা আছে শেখ হাসিনার পার্সোনাল গোয়েন্দা, আরেকটা সাংবাদিক। এর ফলে আদালতের নিষেধাজ্ঞা নিয়ে চিন্তিত নন তিনি।

এতকিছু যখন চোখের সামনেই ঘটছে তখন সচেতনতা কার্যক্রম চালিয়ে দায় সারছে প্রশাসন। কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলছেন, মাইকিং করে সবাইকে বালু তুলতে নিষেধ করছেন তারা।

/এডব্লিউ

Exit mobile version