চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বেগমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা শামসুন্নাহার পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রীকে নিজের দশম শ্রেণিতে পড়ুয়া ছেলের সঙ্গে বিয়ে দিয়েছেন। এ নিয়ে এলাকাজুড়ে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। এমন কাণ্ডে ওই শিক্ষিকার শাস্তির দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসী। এরই মধ্যে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে তাকে।
অভিযুক্ত শিক্ষিকা শামসুন্নাহার বলেন, আমার ছেলে ওই মেয়ের প্রতি অনেক দুর্বল হয়ে পড়েছিল। অন্য জায়গা থেকেও ওই মেয়ের বিয়ে আসতেছিল বলে শুনেছি। তখন আমি ভাবলাম ওই মেয়ের মা নেই, বাবাও অন্ধ, তাই দায়িত্ব নিয়ে আমার ছেলের সাথে বিয়ে দিয়েছি।
কিন্তু তার ছেলে বলেন, আমি ওই মেয়েকে পছন্দ করেছি কারণ আমার বাড়িতে একজন অসুস্থ লোক আছে। আমার মা চাকরি করে। স্কুলে যেতে দেরি হয়ে যায়। তাই রান্না করার জন্য একজন লোক দরকার ছিল। এই জন্য বিয়েটা তাড়াতাড়ি করতে হলো।
এর মাঝেই ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানিয়েছেন, শামসুন্নাহারের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেয়া হয়েছে এবং তার বিরুদ্ধে মামলা করার জন্যও বলা হয়েছে।
বাংলাদেশের ‘বাল্যবিয়ে নিরোধ আইন ২০১৭’ অনুযায়ী বাল্যবিয়ের সর্বোচ্চ শাস্তি দুই বছরের কারাদণ্ড অথবা পঞ্চাশ হাজার টাকা জরিমানা, কিংবা দুটিই।
ইউএইচ/

