Site icon Jamuna Television

শুক্রবার বৈঠকে বসছেন দুই কোরিয়ার রাষ্ট্রনেতারা

শুক্রবার প্রথমবারের মতো বৈঠকে বসছেন উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রনেতারা। ঐতিহাসিক এ বৈঠক সামনে রেখে প্রস্তুত হচ্ছে সীমান্ত শহর পানমুনজম। বিশ্ববাসী অধির আগ্রহ নিয়ে দুই কোরিয়ার এ বৈঠকের দিকে তাকিয়ে থাকবে। চিরবৈরি প্রতিবেশি দেশ দু’টোর মধ্যে সহযোগিতামূলক সম্পর্ক তৈরির প্রত্যাশা বিভিন্ন মহলের।

দক্ষিণ কোরীয় প্রেসিডেন্ট মুন জে-ইন এবং উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উনের এ বৈঠক গত ১১ বছরের মধ্যে প্রথম আন্তঃকোরিয়া শীর্ষ সম্মেলন। দুই কোরিয়ার মধ্যে দীর্ঘদিনের উত্তেজনা নিরসনে এই বৈঠককে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি বলে মনে করছেন দক্ষিণ কোরীয়ার অধিকাংশ নাগরিক।

দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেনসিয়াল অফিসের উপ-মুখপাত্র কো মিন-জুং বলেন, পানমুনজমের পিস হাউজে ঐতিহাসিক এ বৈঠকে মুখোমুখি হবেন দুই কোরিয়ার রাষ্ট্রনেতা। অতিথিদের উষ্ণ ও আন্তরিক অভ্যর্থনা জানাতে বিশেষভাবে প্রস্তুত করা হচ্ছে বৈঠকস্থল।

শান্তি আলোচনা ফলপ্রসূ করার স্বার্থে, ২১ এপ্রিল ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ বন্ধ রাখার ঘোষণা দেয় পিয়ংইয়ং। আশ্বাস দেয়, পরমাণু নিরস্ত্রীকরণের। তবে যথাযথ চুক্তি স্বাক্ষর ও কার্যকরের আগ পর্যন্ত এ নিয়ে আশাবাদী নয় পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষা বন্ধে কাজ করা আন্তর্জাতিক সংস্থা সিটিবিটিও।

সিটিবিটিও’র নির্বাহী সচিব ল্যাসিনা জার্বো বলেন, চুক্তি না করলে পরমাণু অস্ত্র কর্মসূচি স্থগিতের কোনো বাধ্যবাধকতা নেই পিয়ংইয়ংয়ের ওপর। তাই ইচ্ছে হলে আবারও কর্মসূচি শুরু করতে পারে তারা। এজন্য মৌখিক আশ্বাসকে লিখিত চুক্তির রূপ দিতে উত্তর কোরিয়ার ওপর বিশ্ব সম্প্রদায়ের চাপ অব্যাহত রাখতে হবে।

কোরীয় যুদ্ধের পর ৬৮ বছরে এবারই দক্ষিণ কোরিয়ার মাটিতে পা রাখছেন উত্তর কোরিয়ার কোনো সর্বোচ্চ নেতা। গেল ফেব্রুয়ারিতে শীতকালীন অলিম্পিকে উত্তর কোরীয় দলের স্বতস্ফূর্ত অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে সম্পর্কের বরফ গলতে শুরু করে। তখন থেকেই কোরীয় শান্তি প্রক্রিয়া সফল করতে দফায় দফায় আলোচনা শুরু করে দু’দেশ। এতে, মধ্যস্থতা করেছে চীন ও যুক্তরাষ্ট্র।

যমুনা অনলাইন: টিএফ

Exit mobile version