Site icon Jamuna Television

ইভটিজিংয়ে বাধা দেয়ায় কলেজছাত্র খুন, যা জানা গেলো আসামির জবানবন্দিতে

গ্রেফতার আসামি দিপ্ত সাহা।

খুলনার ফুলতলা মোজাম মহলদার কলেজের (এমএম কলেজ) দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র সৈয়দ আলিফ রোহান কিলিং মিশনে অংশ নেয় পাঁচজন। মূলত ইভটিজিংয়ে বাধা দেয়ায় স্থানীয় কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা তাকে হত্যা করে। গ্রেফতার হওয়া প্রধান আসামির স্বীকারোক্তিতে উঠে এসেছে এ হত্যাকাণ্ডের তথ্য।

এই গ্যাংটি সম্পর্কে সম্প্রতি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও স্থানীয় পুলিশ প্রধানের কাছে প্রতিবেদনও দিয়েছিল একটি গোয়েন্দা সংস্থা। তাতে বলা হয়, গ্যাংটির কাছে আছে আধুনিক অস্ত্র। রয়েছে মাদক মামলাসহ নানা অভিযোগ, কিন্ত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ আমলে নেয়নি পুলিশ।

এমএম কলেজের ছাত্র সৈয়দ আলিফ রোহানকে হত্যার পর থেকেই তা নিবিড়ভাবে তদন্ত করছিল পুলিশ। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আটক হওয়া প্রধান আসামির স্বীকারোক্তি থেকে জানা যায়, ঘটনার আগের দিন রাতেই হয় পুরো পরিকল্পনা। সেই অনুযায়ী ৩১ মার্চ সকালে ক্যাম্পাসে অবস্থান নিয়ে আলিফের গতিবিধি লক্ষ্য করে তাছিন মোড়ল, সাব্বির ফারাজী ও দিপ্ত সাহা। এরপর তাদের সাথে যোগ দেয় শান্ত গাজী ও আবুল হাসনাত। ছুরিকাঘাতের পর গলা চেপে ধরে মৃত্যু নিশ্চিত করে ৫ জনের দলটি।

হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে মোজাম মহলদার কলেজের অধ্যাক্ষ মিজানুর রহমান বলেন, হত্যাকাণ্ডের আগেই কলেজে বহিরাগতদের দেখে সন্দেহ হয় শিক্ষকদের। শিক্ষকরা তাদের কলেজের বাইরে চলে যেতেও বলেছিলেন।

এদিকে হত্যাকাণ্ডে গ্রেফতার দিপ্ত সাহা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিলেও পুলিশ এখনও হত্যার ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধার করতে পারেনি। মামলার অপর চার আসামি পলাতক রয়েছে।

ফুলতলা থানার ওসি ইলিয়াস তালুকদার বলেন, দিপ্ত সাহা স্বীকার করেছে যে সে প্রধান আসামি এবং সে নিজেই রোহানকে চেপে ধরে রেখে ছুরি চালায় ও মৃত্যু নিশ্চিত করে। কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে কোনো মাদক মামলা নেই। যদিও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে যে তারা ভালো ছেলে না।

মাস চারেক আগে ফুলতলার এই গ্যাং নিয়ে গোয়েন্দা সংস্থা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আর পুলিশ প্রধানের কাছে একটি প্রতিবেদন জমা দেয়। যেখানে উল্লেখ ছিল রোহান হত্যার দায়ে অভিযুক্ত তিনজনসহ ২১ জনের নাম। যদিও পুলিশ এখনও কিশোর গ্যাংয়ের বিষয়টিকে বড় কিছু মনে করছে না।

/এটিএম

Exit mobile version