অবৈধ পলিথিন ব্যবসায়ীদের হামলাতেই যমুনা টেলিভিশনের দুই গণমাধ্যম কর্মী আহত হন। পরে তারা যমুনা টিভির সিনিয়র রিপোর্টার শাকিল হাসানকে পুড়িয়ে হত্যার চেষ্টাও করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোরাদুল ইসলামের সাক্ষ্যে উঠে এসেছে এমন তথ্য। মামলার বাদীর আইনজীবীর দাবি, সাক্ষীদের সাক্ষ্য আর তথ্যে মামলা সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে। আসামিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির প্রত্যাশা করেন তিনি। আগামী ২৯ জুন উভয়পক্ষের পরবর্তী যুক্তিতর্কের জন দিন নির্ধারণ করেছেন আদালত।
অবৈধ পলিথিন উৎপাদন নিয়ে ২০১৬ সালে প্রতিবেদন করতে গেলে অসাধু ব্যবসায়ীদের হামলার শিকার হন যমুনা টেলিভিশনের সিনিয়র রিপোর্টার শাকিল হাসান এবং ক্যামেরা পারসন শাহীন আলম। কেরোসিন ঢেলে আগুনে পোড়ানোর চেষ্টা করা হয় শাকিলকে। এ ঘটনায় চকবাজার থানায় হত্যাচেষ্টা মামলা করেন শাকিল হাসান।
দীর্ঘ ছয় বছর ধরে চলছে মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ। মঙ্গলবার (৫ এপ্রিল) মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোরাদুল ইসলাম সাক্ষ্য দেন মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে। গরাদখানায় উপস্থিত এ মামলার আসামি জব্বার, রহিম, জাকিরদের শনাক্তও করেন তিনি।
বাদীর আইনজীবী এখলাছ উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, এখন পর্যন্ত ১১ জনের সাক্ষ্য নেয়া হয়েছে। আমরা মনে করি সাক্ষ্য ও আলামতের ভিত্তিতে প্রত্যেক আসামিই দোষী প্রমাণিত হবে।
গণমাধ্যম কর্মীদের ওপর এমন হামলা স্বাধীন মত প্রকাশে বাধা। অপরাধ দমনে এই মামলার রায় দৃষ্টান্ত হবে বলে আশা বাদী পক্ষের আইনজীবীর। এ ব্যাপারে বাদীপক্ষের আইনজীবী এখলাছ উদ্দিন ভূঁইয়া আরও বলেন, আসামিদের জবানবন্দি, আসামি শনাক্তকরণ ও আলামত সব কিছুই সাক্ষীদের সাক্ষ্যকে সমর্থন করছে। আশা করি আমরা ন্যায় বিচার পাবো।
/এসএইচ

