সম্প্রতি লাস ভেগাসে অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো সঙ্গীত দুনিয়ার সবচেয়ে মর্যাদাসম্পন্ন পুরস্কার গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ডসের ৬৪তম আসর। এ বছরের গ্র্যামিতে বেস্ট নিউ আর্টিস্ট, বেস্ট পপ সলো পারফর্মেন্স ড্রাইভার্স লাইসেন্সের জন্য এবং বেস্ট পপ ভোকাল অ্যালবাম বিভাগে তিনটি ট্রফি জিতে ইতিহাস গড়েছেন মার্কিন কণ্ঠশিল্পী-গীতিকার অলিভিয়া রদ্রিগো। কিন্তু কে এই তারকা?
ছোটবেলায় অলিম্পিক জিমন্যাস্ট হতে চেয়েছিলেন এই টিনএজ তারকা। ২০২১ সালে টাইম ম্যাগাজিনের ‘এন্টারটেইনার অব দ্য ইয়ার’ মনোনীত হওয়া ১৯ বছর বয়সী লস এঞ্জেলেসের মেয়েটি এখন সংগীতের সবচেয়ে বড় তারকায় পরিণত হয়েছেন।
রদ্রিগো ডিজনির বিজারদাভারকে গিটারিস্টের চরিত্রে অভিনয় করেন এবং ২০১৯ সালে ডিজনি সিরিজ ‘হাই স্কুল মিউজিকাল’ এর জন্য তাকে কাস্ট করা হয়। সেখানে তিনি ‘অল আই ওয়ান্ট’ গানটি লেখেন। যা মার্কিন চার্টে ৯০ নম্বরে ছিল।
কিন্তু, পরে এই কণ্ঠশিল্পী ডিজনির ছায়া থেকে বেরিয়ে আসেন এবং নিজের আলাদা পরিচয় তৈরি করেন। তিনি ইনস্টাগ্রামে তার কাজ পোস্ট করতেন এবং নিজের একটি আলাদা জগত সৃষ্টি করেন। ফলে, খুব দ্রুত বিশ্বব্যাপী তার ভক্ত বাড়তে শুরু করে।
তিনি টেইলর সুইফটের গানের কাভার সংস্করণ গেয়েছিলেন। যার মধ্যে ‘ক্রুয়েল সামার’ গানটি সুইফট নিজেই শেয়ার করেন। এরপর রদ্রিগো লেখেন ‘ডেজা ভু’ এবং তখন ট্রেন্ড হয়ে ওঠে।
২০২১ সালে প্রকাশিত হয় রদ্রিগোর একক ‘ড্রাইভার্স লাইসেন্স’। এটি এই কিশোরী তারকার জন্য একটি টার্নিং পয়েন্ট ছিল। যা তাকে বিশ্বব্যাপী তরুণ প্রজন্মের কাছে রাতারাতি তারকা খ্যাতি এনে দেয়। এটি স্পটিফাইয়ে রেকর্ড ভাঙে এবং এক সপ্তাহের মধ্যে বিলবোর্ড হট হান্ড্রেডের এক নম্বর গান হয়ে ওঠে।
এরপর একই বছরের মাঝামাঝি সময়ে রদ্রিগো তার প্রথম অ্যালবাম ‘সোর’ প্রকাশ করেন। যা বিলবোর্ড ২০০ চার্টের শীর্ষস্থান দখল করে এবং টানা ৫ সপ্তাহ শীর্ষস্থান ধরে রাখে।
এদিকে, রদ্রিগো ডিজনির ক্যান্ডিফ্লস ড্রিম ফ্যাক্টরি থেকে বেরিয়ে এলেও মার্কিন কিশোর-কিশোরীদের ক্ষোভ, দ্বন্দ্ব এবং সংগ্রাম নিয়ে কথা বলেও বেশ প্রশংসিত হন। মাত্র ১৯ বছর বয়সে এমন প্রাপ্তি হয়ত আর কোনো তারকারই নেই। তিনি বর্তমান প্রজন্মের কাছে আইকনের চেয়েও বেশি কিছু। তার এই প্রাপ্তি একদিন তাকে নিয়ে যাবে অনন্য উচ্চতায় এমনটাই প্রতাশ্যা এখন ভক্তদের।
/এসএইচ

