Site icon Jamuna Television

বুশরা বিবির ঘনিষ্ঠ বান্ধবী ফারাহ খানের হ্যান্ডব্যাগের দাম ৭৮ লাখ টাকা!

পাঞ্জাব সরকারের উড়োজাহাজ ব্যবহারের সময় ফারাহ খানের সঙ্গে থাকা হাতব্যাগটির দাম ৯০ হাজার ডলার বলে দাবি করা হচ্ছে। ছবি: সংগৃহীত

চরম রাজনৈতিক অস্থিরতা বিরাজ করছে পাকিস্তানে। এই অস্থিরতার মধ্যেই সেখানে আলোচনায় উঠে এসেছে দেশটির ‘অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী’ ইমরান খানের স্ত্রী বুশরা বিবির ঘনিষ্ঠ বান্ধবী ফারাহ খানের নাম।

রোববার তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের পরামর্শে সংসদ ভেঙে দেন প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি। এরপর ইমরান খানকে দেশটির অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী করে ডিক্রি জারি করেন প্রেসিডেন্ট। এ নিয়ে রাজনৈতিক অস্থিরতা আরও উত্তপ্ত হয়ে হঠে। বর্তমানে এই অস্থিরতা গিয়ে গড়িয়েছে সর্বোচ্চ আদালতে। বিষয়টি এখন বিচারাধীন।

এদিকে, এই রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যেই ইমরান খানের স্ত্রী বুশরা বিবির ঘনিষ্ঠ বান্ধবী ফারাহ খান পাকিস্তান থেকে পালিয়েছেন বলে খবর পাওয়া যায়। তিনি পাকিস্তান ছেড়ে দুবাই চলে গেছেন বলে স্থানীয় গণমাধ্যম জিও টিভির প্রতিবেদনে দাবি করা হয়। ইমরান খানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাবে সৃষ্ট অস্থিরতায় পার্লামেন্টে ভেঙে দেয়ার প্রেক্ষাপটে তিনি পালিয়ে যান বলে দাবি করা হয়েছে।

এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফারাহ খানের দেশ ছাড়ার এই গুঞ্জনের মধ্যেই এবার প্রকাশ্যে আসলো নতুন অভিযোগ। পাকিস্তান মুসলিম লিগের নেতা সাবেক অর্থমন্ত্রী মিফতাহ ইসমাইলের অভিযোগ, বুশরার এই ঘনিষ্ঠ বান্ধবী ফারাহ খান ৯০ হাজার মার্কিন ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৭৮ লাখ টাকা) মূল্যের হ্যান্ডব্যাগ ব্যবহার করেন। সম্প্রতি ফারাহ খানের একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ভাইরাল হলে মিফতাহ ইসমাইল এই অভিযোগ করেন।

দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী শহিদ খকান আব্বাসির সাথে একটি সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেয়ার সময় ইসমাইল এই অভিযোগ করেন। এ সময় তিনি দাবি করেন, পিএমএল-এন ফারাহ সম্পর্কে সেই কথাই বলছে যা আগে পিটিআই নেতা আলিম খান বলেছিলেন। পিএমএল-এন’র এই নেতার অভিযোগ, ফার্স্ট লেডির ঘনিষ্ঠ সহযোগী পাঞ্জাবের বেসামরিক কর্মচারীদের বদলির জন্য ‘টাকা নিয়েছেন’।

ফারাহ খানের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ ওঠার পর আলোচনা চলছে পাকিস্তানজুড়ে বিভিন্ন মহলে। আলোচনায় স্থান পেয়েছে ‘হ্যান্ডব্যাগ’ ইস্যুটি। অনেকেই বিস্ময় প্রকাশ করছে বলছেন, সত্যিই কি ফারাহ খানের হ্যান্ডব্যাগের এত দাম?

পিটিআই’র খবর অনুযায়ী, ফারাহ কোনো সরকারি পদে নেই। তিনি পিটিআইয়ের সদস্যও নন।

ইউএইচ/

Exit mobile version