ডুবে যাচ্ছে কৃষকের স্বপ্নের ধান, ক্ষয়ক্ষতি হিসেবের অপেক্ষায় প্রশাসন

|

হাওরের কৃষক এক বছরের স্বপ্ন বোনেন বোরো ফসল দিয়েই। কিন্তু সুনামগঞ্জের হাওরে এবার একের পর এক ফসল পানিতে ডুবে যাওয়ায় সেই স্বপ্ন ফিকে হয়ে আসছে। যাদের ফসল নষ্ট হচ্ছে তাদের দুশ্চিন্তা সামনের দিনগুলো নিয়ে। আর স্থানীয় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর বলছে, আর কিছুদিন গেলে নিরুপণ করা যাবে ক্ষয়ক্ষতি।

সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার কালনার হাওর পাড়ের বিরামপুরের কৃষক শফিকুল ইসলাম। এবারের পাহাড়ি ঢলে তার ৮ একর ধান ডুবেছে। সামনের দিনগুলো কীভাবে চলবে জানেন না শফিকুল। হয়তো একমাত্র সম্বল গাভিটি বেচেই চলতে হবে তাকে, চালাতে হবে সংসার।

শফিকুল ইসলাম জানালেন, এর আগে ২০১৭ সালে পাহাড়ি ঢলে ফসল ডুবলেও সরকারি সহায়তা পাননি তিনি। সেবারও সংসার চালিয়েছেন গরু বিক্রি আর জমি বন্ধক রেখে।

বিরামপুরের পাশেই হাওর রক্ষার জন্য একটি স্লুইস গেটে দেখা মিললো কৃষক ইমান আলীর সাথে। সেখানে কাঠ দিয়ে পানি ঠেকানোর চেষ্টা করছে প্রশাসন। ফসল ডোবার শঙ্কায় ভবিষ্যত নিয়ে চিন্তিত ইমান আলীও।

একই অবস্থা কালনার হাওরে ফসল ডুবে যাওয়া বেশিরভাগ কৃষকের। কৃষকদের যখন এমন অবস্থা, তখন যেন কিছুই করার নেই কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের। তাদের অপেক্ষা শুধু ক্ষয়ক্ষতি নিরুপণের। অধিদফতরের উপ-পরিচালক বিমল চন্দ্র সোম জানালেন সে কথাই। বললেন, আরও কিছু সময় গেলে বোঝা যাবে কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

গত ৩ দিনে সুনামগঞ্জের ৭টি হাওরে পাহাড়ি ঢলে তলিয়ে গেছে এক হাজার হেক্টরের বেশি বোরো ফসল। ঝুকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে প্রায় প্রতিটি হাওর রক্ষা বাঁধ। রাত জেগে পাহারা দিচ্ছেন হাজারো কৃষক।

/এডব্লিউ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply