ফ্রান্সে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন, জয়-পরাজয়ের ফ্যাক্টর কী?

|

ফ্রান্সে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের বাকি মাত্র দুদিন। কে হবেন দেশটির পরবর্তী সরকার প্রধান, তা নিয়ে চলছে শেষ মুহূর্তের হিসাব-নিকাশ। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এবার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে বর্তমান প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাকরন ও কট্টর ডানপন্থী মেরি ল্যু পেনের মধ্যে। জয়-পরাজয়ের ফ্যাক্টর হিসেবে কাজ করবে জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধি, অভিবাসন ও মুসলিম বিদ্বেষের মতো ইস্যুগুলো।

ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রথম দফার ভোটগ্রহণ রোববার, দ্বিতীয় দফায় ভোট হবে ২৪ এপ্রিল। শেষ সময়ের প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রার্থীরা। এবার প্রেসিডেন্ট পদে লড়ছেন মোট ১২ জন প্রার্থী। যার মধ্যে ৪ জনই নারী।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভোটারদের জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধি এই নির্বাচনে বড় একটি ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব ফেলবে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধও। এছাড়াও দুই দলের জন্যই অন্যতম ফ্যাক্টর হিসেবে কাজ করবে অভিবাসন নীতি, বর্ণবাদ ও মুসলিম বিদ্বেষের মতো স্পর্শকাতর বিষয়গুলো।

বিভিন্ন গণমাধ্যমের জরিপে এখন পর্যন্ত এগিয়ে আছেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাকরন। তার পরেই আছেন প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী মেরি ল্যু পেন। তবে গতবারের তুলনায় দুই প্রার্থীর মধ্যে কমেছে ব্যবধান।

বর্তমান প্রেসিডেন্ট ম্যাকরন নির্বাচনী প্রচারণায় ঘোষণা করেছেন, যে কোনো সংঘাত এড়াতে এবং ইউরোপের শান্তি প্রতিষ্ঠায় কয়েক বছর ধরেই চেষ্টা করছি। ফ্রান্সবাসীর উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছি। এটাও মনে রাখা জরুরি যে, বিদেশি শক্তি আমাদের ওপর হস্তক্ষেপ করছে। তাই আগামীতেও দেশের সুরক্ষা নিশ্চিতে কাজ করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।

তবে প্রতিদ্বন্দ্বী ল্যু পেন বলেছেন, গোটা ইউরোপের নিরাপত্তা এবং সার্বভৌমত্বকে হুমকিতে ফেলে দেয়া হয়েছে। ইউক্রেন ইস্যুতে একের পর এক ভুল সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ফরাঁসি প্রেসিডেন্ট। তিনি দেশের নিরাপত্তাকে তুচ্ছ মনে করছেন বলেও মন্তব্য করেছেন পেন।

অনেক বিশেষজ্ঞ মনে করছেন, ম্যাকরনকে পরাজিত করতে জ্বালানি সংকট এবং দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করবেন ল্যু পেন। তবে ভোটারদের প্রত্যাশা, যেই ক্ষমতায় আসুক, প্রেসিডেন্টের মূল ভূমিকা থাকবে ফ্রান্সকে পুর্নগঠন করা এবং মূল্যস্ফীতির বিষয়টিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া।

/এডব্লিউ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply