Site icon Jamuna Television

‘সরকারের পক্ষ থেকে জমি ও ঘর দেয়ার নজির পৃথিবীর কোথাও নেই’

স্টাফ করেসপনডেন্ট, ব্রাহ্মণবাড়িয়া:

আশ্রয়হীনদের সরকারের পক্ষ থেকে দুই শতক করে জমি দলিল করে দেয়ার পাশাপাশি ঘর করে দেয়ার মতো নজির পৃথিবীতে আর কোথাও খুঁজে পাওয়া যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সিনিয়র সচিব মো. তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া। ১২.৩৫ একর ভূমিতে গড়ে ওঠা আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ এর আওতায় প্রতিটি ঘরের নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ২ লাখ ৫৯ হাজার ৫০০ টাকা। এ সমস্ত ঘর আগামী মে মাসে ৪ শতাধিক গৃহহীন পরিবারের মাঝে হস্তান্তর করার কথা রয়েছে।

শনিবার (৯ এপ্রিল) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় মনকশাইর এলাকায় দেশের সবচেয়ে বড় আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ এর কাজ পরিদর্শন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।

সিনিয়র সচিব মো. তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ রয়েছে এই আশ্রয়ণে যারা থাকবে তাদের বিভিন্ন সরকারি বিভাগের পক্ষ থেকে প্রশিক্ষণ প্রদান করে কর্মক্ষম করে গড়ে তোলার পাশাপাশি তাদের জন্য সরকারি ঋণ সুবিধাও দেয়া হবে। কাজের মান নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করে সিনিয়র সচিব বলেন, দেশের বৃহৎ প্রকল্প হওয়ায় এর গুণগত মান ধরে রাখতে নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করা হবে। পরে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের সিনিয়র সচিব মো. তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া প্রকল্পস্থলে গাছের চারা রোপণ করেন।

২ শতাংশ করে জমির ওপর নির্মিত প্রতিটি ঘরে দুটি করে কক্ষ, রান্নাঘর, টয়লেটের পাশাপাশি প্রকল্প এলাকায় মসজিদ-মন্দির, হাটবাজার, প্রাথমিক বিদ্যালয়, কবরস্থান ও পুকুরসহ সব নাগরিক সুযোগ-সুবিধা পাবেন এখানে বসবাসকারীরা।

আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ এর কাজ পরিদর্শনকালে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মহাপরিচালক (প্রশাসন) মো. আহসান কিবরিয়া সিদ্দিকি, আশ্রয়ণ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ও যুগ্ম সচিব আবু সালেহ মো. ফেরদৌস খান, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো. আশরাফ উদ্দিন, জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম, কসবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাসুদ-উল-আলমসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

উল্লেখ্য, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে ৪ শতাধিক গৃহহীন পরিবারের জন্য ঘর নির্মাণের মহাযজ্ঞ চলছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার খাড়েরা ইউনিয়নের মনকশাইর এলাকায়। দেশের সবচেয়ে বড় এই আশ্রয়ণ প্রকল্পটির কাজ চলছে কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়ক লাগোয়া অঞ্চলে।

এটিএম/

Exit mobile version