Site icon Jamuna Television

অবস্থান পাল্টে হৃদয় মণ্ডলের মুক্তি চাইলেন ঢাবি শিক্ষক নেতা

বিজ্ঞান শিক্ষক হৃদয় মণ্ডল (বামে) এবং শিক্ষক নেতা নিজামুল হক ভুঁইয়া (ডানে)। ছবি: সংগৃহীত

ধর্ম অবমাননার অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া বিজ্ঞান শিক্ষক হৃদয় চন্দ্র মণ্ডলকে নিয়ে করা মন্তব্য পরিবর্তন করে তার মুক্তি চেয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক নিজামুল হক ভুঁইয়া। তিনি দাবি করেছেন, হৃদয় মণ্ডলকে ফাঁসানো হয়েছে।

ঢাবি শিক্ষক সমিতির নেতা অধ্যাপক নিজামুল হক ভুঁইয়া বলেছেন, প্রথমে বিষয়টা বুঝতে পারেননি তিনি। তবে বিজ্ঞানশিক্ষক হৃদয় মণ্ডলের বক্তব্যটা দেখার পর বুঝতে পেরেছেন তাকে ফাঁসানো হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৭ এপ্রিল) শিক্ষক সমিতির এই নেতা গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, দেশে ৯০ শতাংশ মানুষ যেহেতু মুসলিম, সেখানে ধর্ম নিয়ে কন্ট্রাডিকটরি বক্তব্যটা দেয়া কোনোভাবেই সমীচীন নয় বলে আমি মনে করি।

তবে এরপর শুক্রবার (৮ এপ্রিল) হৃদয় মণ্ডলের মুক্তি চেয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির দেয়া বিবৃতিতে বলা হয়, পরিকল্পিতভাবে ‘ধর্ম অবমাননার দায়ে’ ফাঁসিয়ে মুন্সীগঞ্জ সদরের বিনোদপুর রামকুমার উচ্চ বিদ্যালয়ের বিজ্ঞানশিক্ষক হৃদয় চন্দ্র মণ্ডলকে গ্রেফতারের খবরে আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে খুঁজে বের করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানাচ্ছি।

হৃদয় মণ্ডলের সাথে ঘটে যাওয়া সকল ঘটনা উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়, বিজ্ঞানের ক্লাসে শিক্ষক হৃদয় মণ্ডলকে অপ্রাসঙ্গিকভাবে ধর্মের বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়। শিক্ষক হৃদয় চন্দ্র মণ্ডল ধর্মকে ‘বিশ্বাস’ আর বিজ্ঞানকে ‘প্রমাণভিত্তিক জ্ঞান’ হিসেবে ব্যাখ্যা করেন। শিক্ষকের এ বক্তব্য গোপনে রেকর্ড করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার করা হয়। ধারণা করা যায়, কোনো মহল উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এ কাজে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ব্যবহার করেছে। হৃদয় চন্দ্র মণ্ডল একুশ বছর ধরে ওই বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করছেন। এ ধরনের প্রবীণ শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের একজন চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীর মাধ্যমে মামলা করানো হয়, যা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে প্রতীয়মান হয়। এ ছাড়া তড়িঘড়ি করে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা করাটাও রহস্যজনক।

শিক্ষক সমিতির বিবৃতিতে বলা হয়, সাম্প্রতিককালে ধর্ম নিয়ে একশ্রেণির মানুষের তৎপরতাকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে মনে করার যথেষ্ট কারণ রয়েছে। রাষ্ট্রের উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করে ঘোলা জলে মাছ শিকারের জন্য সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করতে একটি মহল অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। এ ঘটনা তারই অংশ বলে আমরা মনে করি।

এম ই/

Exit mobile version