ফাইল ছবি
স্টাফ করেসপনডেন্ট, নওগাঁ:
নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার বারবাকপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে হিজাব বিতর্কের প্রকৃত ঘটনা উদঘাটনে গঠিত তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন দাখিল করেছে। প্রতিবেদনে হিজাব পড়ার কারণে শিক্ষার্থীদের মারধোরের অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়নি বলে উল্লেখ করা হয়েছে। প্রতিবেদনে ৭টি সুনির্দিষ্ট কারণ ও সুপারিশ উল্লেখ করেছে কমিটি।
সোমবার (১১ এপ্রিল) সন্ধ্যায় মহাদেবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিজানুর রহমান প্রতিবেদন প্রাপ্তির কথা নিশ্চিত করে বলেন, তদন্ত কমিটির প্রধান উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. আব্দুল মালেক প্রতিবেদন দাখিল করেছেন।
ইউএনও জানান, হিজাব পরায় মারধোরের ঘটনা বা এই অভিযোগের কোনো সত্যতা পায়নি তদন্ত কমিটি।
তিনি আরও বলেন, প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঘটনার দিন দাউল বারবাকপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা আমোদিনী পাল হিজাবের কারণে নয়; নির্ধারিত স্কুল ড্রেস না পরার কারণে কয়েক জন ছাত্রীকে ও স্কুলের শরীর চর্চা শিক্ষক বদিউল আলম কয়েক জন ছাত্রকে মারধর করেছিলেন।অথচ প্রধান শিক্ষক ধরণীকান্ত শুধু শিক্ষিকা আমোদিনী পালকেই শোকজ করেন।
এ ঘটনা তদন্ত কমিটির কাছে উদ্দেশ্যমূলক মনে হয়েছে। শুধু শিক্ষিকা আমোদিনী পালকে শোকজ করায় প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করেছে তদন্ত কমিটি।
এছাড়া প্রতিবেদনে সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে শিক্ষার্থীদের প্রহার করায় শিক্ষিকা আমোদিনী পাল ও শিক্ষক বদিউল আলমের বিরুদ্ধেও বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে গুজব ছড়ানো প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, প্রধান শিক্ষক ধরনীকান্ত, শিক্ষিকা আমোদিনী পাল ও ম্যানেজিং কমিটির মধ্যে দীর্ঘদিনের তৃমুখী দ্বন্দ্ব চলছিলো। যা উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে ও গুজব ছড়াতে ব্যবহার করা হয়েছে শুধু তাই নয়; গুজব ছড়ানোর পশ্চাতে স্থানীয় কিছু সাংবাদিক ও সাধারণ মানুষের নামও উঠে এসেছে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতেও সুপারিশ করেছে তদন্ত কমিটি।
প্রসঙ্গত, গত ৬ এপ্রিল ওই স্কুলটির বেশ কিছু শিক্ষার্থীকে মারধরের ঘটনা ঘটে পরদিন ৭ এপিল এ ঘটনা হিজাব বিষয়ক গুজবে রূপ নেয়। ভাঙচুর চালানো হয় দাউল বারবাকপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে।
/এসএইচ
Leave a reply