Site icon Jamuna Television

ঈদে বেড়েছে কুমিল্লার খাদি কাপড়ের চাহিদা

কুমিল্লা প্রতিনিধি:

কুমিল্লার ঐতিহ্যবাহী খাদি আর বাটিকের কাজ দুটোই বেশ জনপ্রিয়। প্রাচীন আমল থেকে চরকায় ও তাতে বোনা খাদিতে এখন লেগেছে প্রযুক্তির ছোঁয়া। দুবছর করোনার মন্দার পর ঈদ ঘিরে বেড়েছে দেশি কাপড়ের চাহিদা। তাই দিন-রাত ব্যস্ত সময় কাটচ্ছে কারিগর-ব্যবসায়ীরা।

কুমিল্লার কমলপুরের বাহারি রং আর মোটিফের সুখ্যাতি দেশজুড়ে। এখানে বারোমাসই চলে ব্লক-বাটিকের কাজ। বাড়তি চাহিদা মেটাতে দম ফেলার ফুরসত নেই কারিগরদের। কেউ রং মেশানোর কাজ করছে, কেউ আবার কাপড়ের ফুটিয়ে তুলছেন হাল ফ্যাশনের নকশা। করোনার কারণে গত দুই বছর যে লোকসান হয়েছে তা থেকে বেরিয়ে আসার আপ্রাণ চেষ্টা তাদের।

বিক্রেতারা বলছে, গত দুবছর করোনায় কাজ বন্ধ থাকায় এবার ঈদে বেড়েছে খাদি ও বাটিকের কাপড়ের চাহিদা। আর ক্রেতারা বলছেন, গরমে ঐতিহ্যবাহী খাদি ও বাটিকের নতুন কাপড় বেশ আরামদায়ক হওয়ায় এবারের ঈদে তারা ঝুকছেন খাদি কাপড়ের দিকে।

বৈশাখের গরমে উদযাপন হবে এবারের ঈদ। তারপরও চাহিদা আছে দেশি মোটা কাপড়ের। ব্যতিক্রম খাদির কাপড়ে বাটিকের ছাপ পছন্দ অনেকেরই। ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের অংশ স্বদেশি খাদি কাপড়। আগে চান্দিনা ও দেবীদ্বারে কয়েকশ পরিবার খাদি শিল্পের সঙ্গে জড়িত থাকলেও, বর্তমানে টিকে আছে ৭/৮টি পরিবারের কারিগর।

এটিএম/

Exit mobile version